ইউরোপীয় কমিশনের প্রকাশিত সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে সুইডেন ব্রেক্সিটের পর থেকে ১,১০০ বৃটিশ নাগরিককে বহিষ্কার করেছে।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসে যখন দেশটি ৭৪ বছর বয়সী একজন বৃটিশ মহিলাকে সুইডেন ত্যাগের নির্দেশ দেয়। বৃটিশ বয়োবৃদ্ধ এই মহিলার পোস্ট ব্রেক্সিট রেসিডেন্সি পারমিট ছিল না বলে জানায় দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
ইউরোস্ট্যাট কর্তৃক ৩১ শে মার্চ প্রকাশিত পূর্ণ-বছরের পরিসংখ্যানগুলিতে দেখা যায় ফ্রান্স এবং জার্মানি যথাক্রমে ১১৫ এবং ৪০ জন বৃটিশ নাগরিকদের অপসারণের আদেশ জারি করেছিল ব্রেক্সিট কার্যকর হবার পর।
স্পেন, ইতালি, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া এবং লাক্সেমবার্গ ২০২১ বা ২০২২ সালে কোনও বৃটিশ নাগরিককে সঠিক কাগজ না থাকার কারণে তাদের দেশ হতে অপসারণ করেনি। সুইডেনের পরে, নেদারল্যান্ডস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপসারণের নির্দেশ জারি করে। যার সংখ্যা প্রায় ৭২০ জনের মতো।
ইইউ দেশ হতে ২০২১ এবং ২০২২ সালে ২,৬১০
জন বৃটিশ নাগরিককে অপসারণ করা হয়েছে।ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে দেখা যায় যে বৃটিশ নাগরিকদের অপসারণ করা হয় এরমধ্যে ১৩৫০ জন ৩৫ বছর বয়সী, ১০২৫ জনের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে, ৬৫ জন কিশোর -কিশোরী ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে এবং ১৭০ জনের বয়স ১৪ বছরের কম ছিল ।
সুইডেনে বসবাসরত পদার্থ বিজ্ঞানের একজন বৃটিশ অধ্যাপক ডেভিড মিলস্টেড বলেছেন,পরিসংখ্যানগুলি উদ্বেগজনক। তিনি সুইডিশ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে ক্যাথলিন পুলের দেশ থেকে অপসারণ বন্ধের দাবি জানান। বৃটিশ নাগরিক ক্যাথলিন পুলের পরিবার তাদের অপসারণ বন্ধের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন বলে খবরে জানা যায়।
২০২১-২২ সালে সুইডেন তাদের দেশ হতে প্রায় ৫০% বৃটিশ নাগরিকদের অপসারণের চিঠি ইস্যু করেছে বলে একটি প্রতিবেদনের উপাত্তে দেখা যায়। সুইডেন অন্যান্য ইইউ দেশের তুলনায় এই ব্যাপারে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে এই প্রতিবেদনে উঠে আসে।
সুইডেনের মাইগ্রেশন এজেন্সি ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, বৃটিশদের কাছ থেকে রেসিডেন্সি পারমিটের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার মূল কারণ ছিল অসম্পূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন, যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি ছাড়াই দেরী করে অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়া। ইউরোস্ট্যাটের একজন মুখপাত্র বলেন সকলকে নিয়মানুযায়ী চলতে হবে সুইডেনে বসবাস করতে হলে। নতুবা সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য।