কেয়ার স্টারমার তার নেট মাইগ্রেশন কমানোর পরিকল্পনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও শিল্প খাতের তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর, যেখানে তিনি বলেছিলেন কঠোর নতুন নীতিমালা ছাড়া যুক্তরাজ্য একটি “অচেনা লোকের দ্বীপে” পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
কিছু সমালোচক স্টারমারের ভাষাকে এনক পাওয়েলের ভাষার সঙ্গে তুলনা করেছেন, এবং প্রধানমন্ত্রীকে ডানপন্থী জনপ্রিয়তাবাদের তুষ্টিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, কারণ তিনি বলেছিলেন তিনি “আমাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে” এবং “অভিবাসন বৃদ্ধির এই নোংরা অধ্যায়” শেষ করতে চান।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বক্তব্যকে অনেকেই ১৯৬৮ সালে কুখ্যাত “রিভার্স অফ ব্লাড” ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে এমপি এনক পাওয়েল ভবিষ্যতের এক ‘বহু-সাংস্কৃতিক’ ব্রিটেনের ভয়াবহ চিত্র আঁকেন।
সমালোচনার জবাবে স্টারমার বলেন, “অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে বিশাল অবদান রাখে, আমি কখনোই তা খাটো করি না।” তবে তিনি আবারও বলেন, নতুন অভিবাসীদের ইংরেজি ভাষা শেখা ও সমাজে একীভূত হওয়াটা প্রয়োজনীয়।
স্টারমারের নতুন প্রস্তাবিত নীতির মধ্যে রয়েছে ভাষা পরীক্ষা, উচ্চতর দক্ষতার শর্ত, ভিসা সীমিতকরণ এবং নাগরিকত্ব পেতে সময় বাড়ানো। তার ভাষায়, “আগের সরকার অভিবাসন নীতিতে ব্যর্থ হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য হলো সেটি ঠিক করা।”
তবে এসব বক্তব্যকে অনেকেই ডানপন্থীদের তুষ্ট করার কৌশল বলে মনে করছেন। লেবার এমপি জারা সুলতানা বলেন, “এনক পাওয়েলের মতো বক্তব্য দুঃখজনক ও বিপজ্জনক।”
অন্য লেবার নেতারা বলেন, সমস্যা সমাধানের পথ হলো কমিউনিটিতে বিনিয়োগ, বিভাজন নয়।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৪ মে ২০২৫