21 C
London
July 2, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

স্ট্যাম্প ডিউটির প্রভাবেই যুক্তরাজ্যে বাড়ির দামে বড় পতন, দুই বছরে সর্বোচ্চ মাসিক ধস

যুক্তরাজ্যে জুন মাসে গৃহমূল্য কমেছে ০.৮ শতাংশ, যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক পতন বলে জানিয়েছে মর্টগেজ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনওয়াইড।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এত বড় ধস দেখা গেল। প্রতিষ্ঠানটির মতে, এপ্রিলে স্ট্যাম্প ডিউটি পরিবর্তনের কারণে বাজারে চাহিদা কমে যাওয়াই এর প্রধান কারণ।

বার্ষিক গড় হিসেবে বাড়ির দাম ২.১ শতাংশ বেড়েছে, তবে এটি গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধি।

ন্যাশনওয়াইড আশা করছে, আগামী মাসগুলোতে আবাসন বাজারে ধীরে ধীরে গতি ফিরবে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থনীতিবিদ রবার্ট গার্ডনার জানান, ক্রেতাদের জন্য পরিস্থিতি এখনও অনুকূল। কারণ বেকারত্ব কম, আয় মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে বেশি হারে বাড়ছে এবং সুদের হার কমলে ঋণগ্রহণ আরও সহজ হবে।

এপ্রিলে কার্যকর হওয়া স্ট্যাম্প ডিউটির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইংল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে এখন ১,২৫,০০০ পাউন্ডের বেশি দামের বাড়িতে কর দিতে হবে, যা আগে ছিল ২,৫০,০০০ পাউন্ড।

প্রথমবার বাড়ি কিনতে ইচ্ছুকদের জন্যও এখন ৩,০০,০০০ পাউন্ডের বেশি দামের বাড়িতে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হচ্ছে, যেখানে আগের সীমা ছিল ৪,২৫,০০০ পাউন্ড।

EY আইটেম ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ম্যাট সোয়ানেল বলেন, মাসিক দামের ওঠানামা সাধারণত অস্থির হয় এবং এবারের ক্ষেত্রে তা আরও বাড়িয়েছে স্ট্যাম্প ডিউটির নতুন সীমা।

তার মতে, মার্চ মাসের শেষে অনেক চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন হওয়ায় এপ্রিল থেকে বাজার কিছুটা দুর্বল হয়েছে, তবে মে মাসে মর্টগেজ অনুমোদন বাড়ার ইঙ্গিতে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

কুইলটার চেভিওট-এর আর্থিক উপদেষ্টা রোজি হুপার জানান, বাজার এখনো এপ্রিলের সংস্কার হজম করছে, তবে নতুন সীমা শিগগিরই স্বাভাবিক হিসেবে গৃহীত হবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে।

ন্যাশনওয়াইডের তথ্য কেবল তাদের নিজস্ব মর্টগেজ ঋণগ্রহীতাদের নিয়ে, এতে নগদ ক্রেতা বা ভাড়ার উদ্দেশ্যে কেনাকাটা অন্তর্ভুক্ত নয়। বর্তমানে নগদ ক্রেতারা পুরো বাজারের এক-তৃতীয়াংশ।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে
০১ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

ইউকে ডট গভের জরিপে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র সাদিক খান

কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির ৪০০ চাকুরি কাটছাঁট ও কোর্স বন্ধ করার পরিকল্পনা

প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন অসংখ্য তরুণের অনুপ্রেরণা: বরিস জনসন