11.6 C
London
May 18, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বন্ধ করল ভারত

নিজেদের ভূখণ্ডের উত্তরপূর্বাঞ্চল দিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্যের আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। নিষেধাজ্ঞা এসেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতেও।

নয়া দিল্লি বলছে, এখন থেকে শুধু কলকাতা ও নভসেবা (জওহরলাল নেহরু) সমুদ্রবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক ভারতে ঢুকতে পারবে। অন্যসব বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনার খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘জেনারেল নোটস রিগারডিং ইমপোর্ট পলিসিতে নতুন একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত হয়েছে। এটি যুক্ত হয়েছে দেশটির আমদানি-রপ্তানির শ্রেণিবিন্যাস ব্যবস্থা ‘আইটিসি (এইচএস) ২০২২ এর সিডিউল ১ (আমদানি নীতি) এর অধীনে।’

দুই দেশের পাল্টাপাল্টি আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তের মধ্যে নতুন করে এ ঘোষণা দিল নয়া দিল্লি।

ভারতের নতুন এ সিদ্ধান্তে প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যাপকভাবে চাপে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর যে চড়া শুল্ক আরোপ করেছে ভারতের এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য তার চেয়েও কঠোর।

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে বড় অঙ্কের পণ্য রপ্তানি করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘটনা ঘটে।

প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

অপরদিকে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত।

এখন নতুন করে বেশ কিছু সীমান্তের বন্দর দিয়ে কিছু পণ্যের নাম তুলে ধরে সেগুলোর রপ্তানি বন্ধ করল।

শনিবার দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরেট জেনারেল থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরা (ও পশ্চিমবঙ্গ) স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্যের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।

এ তালিকায় রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের পানীয়; চিপস, কনফেকশনারি, বেকারি বা স্ল্যাকসের মত প্রক্রিয়াজাত খাবার; সুতা কিংবা সুতার বর্জ্য; প্লাস্টিক ও পিভিসির তৈরি (পিগমেন্ট, ডাইস, প্লাস্টিকাইজার ও গ্রানিউল বাদে) বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং কাঠের আসবাবপত্র।

তবে বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথর আমদানি অব্যাহত রেখেছে দেশটি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলের ১১টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য হয়। এগুলোর মধ্যে আসামে তিনটি, মেঘালয়ে দুটি ও ত্রিপুরায় ছয়টি বন্দর রয়েছে।

সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

এম.কে
১৮ মে ২০২৫

আরো পড়ুন

পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যের পদত্যাগ

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবঃ ড. ইউনূস

আইনজীবীকে বিচারপতির হুমকি, বেঞ্চ ভেঙে দিলেন প্রধান বিচারপতি