শিশু ও কিশোরদের শারীরিক স্থূলতা বা ওবেসিটির হার গত চার দশকে দশগুণ বেড়েছে। সারা দুনিয়ায় বারো কোটি চল্লিশ লাখ ছেলে-মেয়ে এখন অতিরিক্ত মোটা বা স্থুলতায় আক্রান্ত।
গবেষকরা সতর্ক করেছেন মহামারীর মতো বাড়ছে স্থুলতা যুক্তরাজ্যে, ইংল্যান্ডে প্রায় চার সন্তানের মধ্যে একজন স্থূলতায় আক্রান্ত হচ্ছে।
তথ্যানুযায়ী জানা যায়, ১০ থেকে ১১ বছর বয়সীদের প্রায় ২২.৭ শতাংশ স্থুলতায় আক্রান্ত যা ২০২২/২৩ সালে পরিসংখ্যানের চেয়ে ১.৭% বেশি। এনএইচএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কোভিড মহামারীটির পর থেকে স্থুলতা ৩৫.২ শতাংশ বেড়েছে। স্থুলতা বাড়ার কারণ হিসাবে বাচ্চারা লকডাউনের সময় স্কুলে যেতে না পারা ও বাইরে খেলাধুলা হতে দূরে থাকার কারণই মূল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পূর্ব লন্ডন ব্যোরো অফ বার্কিং এবং ডাগেনহ্যামের ৬ বছরের শিক্ষার্থীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ স্থূল বা মারাত্মক স্থূল হিসাবে বিবেচিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন স্থুলতা টাইমবোম্বের মতো এবং তা বাড়ছে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে। এনএইচএসের মতে স্থুলতা বৃদ্ধি হবার পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক।
গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। ইংল্যান্ডের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শিশুরা সর্বাধিক সমৃদ্ধ অঞ্চলের তুলনায় দ্বিগুণ স্থূল হওয়ার সম্ভাবনায় আক্রান্ত।
সরকারী একজন মুখপাত্র বলেন, “ আমরা স্বাস্থ্যকর খাদ্য পছন্দকে উৎসাহিত করি এবং সমস্ত আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠী এবং বঞ্চিত অঞ্চলে স্থূলত্ব মোকাবেলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া এটি স্বীকৃত যে অতিরিক্ত স্থুলতা হতে ক্যান্সার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যা মোকাবেলায় এনএইচএসকে প্রায় ৬ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে হয়।”
এম.কে
২৬ জানুয়ারি ২০২৪