21.3 C
London
August 16, 2025
TV3 BANGLA
ফিচার

হাঁসের মাংস থেকে দূরে থাকবেন যারা

শীত আসলেই হাঁসের মাংস খাওয়ার মৌসুম শুরু হয়। তাই বলে গ্রীষ্মে যে হাঁস কেউ পাতে তোলেন না এমনটি নয়। হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। শীতে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। শুধু খাওয়াই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্যও হাঁসের মাংস বেশ উপকারী।

হাঁসের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এতে ফ্যাট ও ক্যালরি তুলনামূলক বেশি থাকে, যা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কারা হাঁসের মাংস থেকে দূরে থাকবেন। হাঁসের মাংস কারা খাবেন না আর কী পরিমাণ খাবেন সে সম্পর্কে বলেছেন পুষ্টিবিদরা।

হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা রক্তে কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এটি হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই এই রোগে আক্রান্তরা হাঁসের মাংস থেকে দূরে থাকবেন।

হাঁসের মাংসের উচ্চ ফ্যাট উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে এটি কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

হাঁসের চর্বি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে, যা এথেরোসক্লেরোসিস বা ধমনির বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

লিভারজনিত সমস্যা থাকলে ফ্যাট বেশি থাকায় হাঁসের মাংস খাওয়া এড়ানো ভালো, কারণ এটি লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

হাঁসের মাংস ক্যালরি ও ফ্যাট সমৃদ্ধ। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।

অতিরিক্ত ফ্যাটি খাবার গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে। হাঁসের মাংস যদি সঠিকভাবে রান্না না করা হয়, তবে এটি হজমে সমস্যা করতে পারে।

পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন জানান, যেহেতু হাঁসের মাংসে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি তাই এটি শরীর উষ্ণ করে। অনেক সময় শীতকালে শরীর উষ্ণ রাখার প্রয়োজন হয়, যদি কোনো ধরনের অ্যালার্জি না থাকে তাহলে হাঁসের মাংস খেলে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়। শরীর উষ্ণ করার পাশাপাশি এটি শক্তির ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া যাদের রক্তস্বল্পতা থাকে, শীতকালে অনেকে খাবার কম খায়, খাবারে অনীহা থাকে তাদের জন্য হাঁসের মাংস খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। তবে অনেকের ক্ষেত্রে হাঁসের মাংস অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের অবশ্যই হাঁসের মাংস খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

সাধারণত একজন মানুষকে যে কোনো মাংস ৬০ গ্রাম বা ৭০ গ্রাম খাওয়ার কথা বলা হয়, ১০০ গ্রামের নিচে খাওয়াটাই ভালো। হাঁসের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রেও ৩০ গ্রাম ১ টুকরো হিসেবে ২ টুকরো হাঁসের মাংসে ৬০ গ্রাম পরিমাণ খাওয়াটাই সুষম হবে।

হাঁসের মাংস স্যাটুরেটেড ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত একটি খাবার। চামড়াসহ হাঁসের মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি তাই রান্না করার সময় চামড়া ফেলে দেওয়া ভালো। আর চামড়াসহ রান্না করলে সেটি খাওয়ার সময় পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। হাঁসের মাংস যাতে ভালোভাবে সেদ্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

হাঁসের মাংস ঘনঘন খাওয়া, অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে তাই অবশ্যই নিজেদের শারীরিক অবস্থা ও সমস্যা বিবেচনা করে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

সূত্রঃ যুগান্তর

এম.কে
১৬ আগস্ট ২০২৫

আরো পড়ুন

শুধু লাগান তেঁতুল তাতেই হুড়মুড় করে বাড়বে যৌবন

মাত্র ৮০ মিনিটে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক পৌছানো যেভাবে সম্ভব হবে

বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের এক্সচেঞ্জ রেট

অনলাইন ডেস্ক