ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে কটুক্তি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সিদ্ধান্তটি দেখবেন ব্রিটেনের উচ্চ আদালত।
গত বছর, প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে কটুক্তি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে তা উড়িয়ে দিয়ে তার মন্ত্রীত্ব বহাল রেখে বরিস জনসন বলেন, তিনি মিনিস্টারিয়াল কোড (মন্ত্রীপরিষদের নিয়মনীতি) ভঙ্গ করেননি। কিন্তু অভিযোগকারী এফডিএ’র সিনিয়র সিভিল সার্ভেন্টরা তা মানতে নারাজ।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিবিসির খবরে বলা হয়, অভিযোগটি নিয়ে এবার পূর্ণ শুনানি জানাবেন আদালত।
এদিকে এই মামলাটির বিরোধিতা করে সরকারের দাবি, মিনিস্টারিয়াল কোড প্রচলিত আইন থেকে আলাদা। সুতরাং এটি সেভাবেই দেখা উচিৎ।
২০২০-এর নভেম্বরে প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃতভাবে মিনিস্টারিয়াল কোড ভঙ্গের নজির খুঁজে পান প্রধানমন্ত্রীর হেড অব স্ট্যান্ডার্ড স্যার অ্যালেক্স অ্যালান। অভিযোগে বলা হয়, কর্মীদের সঙ্গে প্রীতি প্যাটেল বিভিন্ন সময় দুর্ব্যবহার করেন, যাকে ‘বুলিং’ হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে।
স্বরাষ্ট্র সচিবের এ ধরনের কাজ মন্ত্রীপরিষদের নিয়ম ভঙ্গ করেছে কি করেনি- সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাজ। আর বরিস জনসন মনে করেন, প্রীতি প্যাটেল কোনো দোষ করেননি।
প্রীতি প্যাটেলের মন্ত্রীত্ব বহাল রাখতে বরিস বলেন, তিনি ‘বুলি’ (অন্যায়ভাবে দুর্ব্যবহারকারী) নন। তার আচরণের পেছনে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি দায়ি।
এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর স্ট্যান্ডার্ড অ্যাডভাইজার স্যার অ্যালেক্স অ্যালান পদত্যাদ করেন এবং এখনও তার পদে কাউকে প্রতিস্থাপন করা হয়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে এফডিএ’র অভিযোগটির বিষয়ে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্রিটেনের সরকারি কর্মকর্তারা।
সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন এফডিএ’র জেনারেল সেক্রেটারি ডেভ পেনম্যান বলেন, আমি খুবই সন্তুষ্ট। মিনিস্টারিয়াল কোড হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা মন্ত্রীদের আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করা যায়।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে এর আগে বরিস জনসন একবার বলেছিলেন, প্রীতি প্যাটেলের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা আছে এবং বিষয়টি নিয়ে আগানোর দরকার মনে করেন না তিনি।
২৭ এপ্রিল ২০২১
এনএইচ