ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ প্রথমবারের মতো হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।
ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করতে চরম আঘাত হেনেছি। হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে হত্যা করেছি। একইসঙ্গে হুতিদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হামাসকে পরাজিত করেছি, হিজবুল্লাহকে হারিয়েছি, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছি এবং সিরিয়ার আসাদ সরকারকে উৎখাত করেছি। হুতিদের কৌশলগত অবকাঠামো ধ্বংস করব এবং তাদের নেতাদের হত্যা করব। একইসঙ্গে ইয়েমেনের হোদেইদা ও সানায়ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গত ৩১ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে ইরানের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক আবাসিক ভবনে প্রজেক্টাইল বোমা হামলায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইসরায়েলি অভিযানে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
হানিয়ার হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিনজুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতিরা। গত শনিবার হুতিদের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের একটি পার্কে আঘাত হানে, এতে ১২ জন সামান্য আহত হন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ জানিয়েছেন, হুতিদের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে তাদের নেতাদের নির্মূল করা হবে।
গত অক্টোবর হিজবুল্লাহর নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর এই প্রতিশোধের ধারা আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হানিয়ার হত্যাকাণ্ড এবং হুতিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় আঞ্চলিক সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
সূত্রঃ আল জাজিরা
এম.কে
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪