যুক্তরাজ্যে বছরের সবচেয়ে গরম দিনে থেমসলিংকের একটি ট্রেন বিকল হয়ে পড়ায় প্রায় ১,৫০০ যাত্রী দুই ঘণ্টা ধরে ট্রেনের ভেতরে তীব্র গরমে আটকে ছিলেন।
বেডফোর্ড থেকে ব্রাইটনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ট্রেনটি লাফবোরো জংশন ও এলিফ্যান্ট অ্যান্ড ক্যাসেলের মাঝামাঝি জায়গায় থেমে যায়। কেবিনে কোনো জানালা খোলা যাচ্ছিল না এবং এয়ার কন্ডিশনিং কাজ করছিল না, ফলে যাত্রীদের অনেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন।
কেউ কেউ অভিযোগ করেন, ট্রেনের ভেতরে তাপমাত্রা এমন ছিল যেন “ওভেনে রেখে সিদ্ধ করা হচ্ছে”। একজন যাত্রী বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও আমাদের কেউ জানাননি কী করতে হবে, কোথায় যাব।”
পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে পড়ে যে, যাত্রীদের ট্র্যাক ধরে হাঁটিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে বাধ্য হন রেলকর্মীরা ও দমকল বাহিনী। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানায়, উদ্ধার অভিযানে অন্তত ২৫ জন দমকলকর্মী অংশ নেন।
থেমসলিংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “গরমে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় যাত্রীদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা সাসেক্স ও কেন্ট থেকে রেসকিউ টিম পাঠিয়েছিলাম দ্রুততম সময়ে উদ্ধার করতে।”
ঘটনার সময় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চলছিল রেল ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ, ফলে বিকল্প কোনো রুট খোলা ছিল না। দক্ষিণ লন্ডনের যাত্রীদের অন্য ট্রেন সেবার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই ঘটনাটি ঘটে এমন এক দিনে, যেদিন সারেতে তাপমাত্রা ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে — যা এ বছরের সর্বোচ্চ। দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে অ্যাম্বার হিট হেলথ অ্যালার্ট।
বিকেলে উত্তর ইংল্যান্ডজুড়ে বজ্রঝড়, দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে।
থেমসলিংক জানিয়েছে, যেসব যাত্রী অন্তত ১৫ মিনিট বিলম্বে পড়েছেন, তারা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সমালোচকদের মতে, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হয়েছে যুক্তরাজ্যে জরুরি পরিস্থিতিতে অবকাঠামোগত প্রস্তুতির ঘাটতি কীভাবে যাত্রীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
সূত্রঃ দ্য সান
এম.কে
২২ জুন ২০২৫