এক ব্যক্তি টিকিট বা পাসপোর্ট ছাড়াই লন্ডন হতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন। হিথ্রো বিমানবন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে উড়োজাহাজে প্রবেশ ও নিউইয়র্ক পৌঁছা আতঙ্কিত হবার মতো ঘটনা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই কারণে হিথ্রো বিমানবন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
৪৬ বছর বয়সী ক্রেইগ স্টুয়ার্ট হিথ্রোর টার্মিনাল ফাইভে পাসপোর্ট চেক না করিয়েই একটি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে উঠে পড়েন। তার সাথে কোনো টিকেটও ছিল না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেএফকে বিমানবন্দরে আসার পরে ক্রেইগকে আমেরিকান সুরক্ষা কর্মকর্তারা আটক করেন। তারা খুঁজে দেখেন তার কোনও ডকুমেন্টেশন নেই যার কারণে তাকে একটি চার্টার ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়।
পরবর্তীকালে গত ক্রিসমাসের দিনে ক্রেইগ স্টুয়ার্টকে দেশে ফিরে আসার পর বিমান চলাচল সুরক্ষা আইনের আওতায় জালিয়াতি ও অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তবে জানুয়ারিতে তিনি আক্সব্রিজ ম্যাজিস্ট্রেটস আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত না হওয়ার কারণে ক্রেইগ স্টুয়ার্টের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়।
টেমস ভ্যালি পুলিশ স্টেশন ক্রেইগ স্টুয়ার্টের একটি ছবি প্রকাশ করে ৩০ জানুয়ারিতে একটি সতর্কতা জারি করে। এতে বলা হয়েছে, “ দয়া করে আপনি ক্রেইগকে খুঁজে পেতে আমাদের সহায়তা করুন। ৪৬ বছর বয়সী ক্রেইগ ৬ ফুট লম্বা, পাতলা গড়নের এবং চুলের রং বাদামী। যখন তাকে শেষ দেখা যায় তখন তিনি একটি ধূসর জ্যাকেট পরেছিলেন।”
হিথ্রোর একজন মুখপাত্র বলেন, মিঃ ক্রেইগ স্টুয়ার্ট পাসপোর্ট না থাকা সত্ত্বেও সুরক্ষা স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়েই অতিক্রম করেছেন।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ” সমস্ত লোক যারা উড়োজাহাজে আসন গ্রহণ করেন তারা সুরক্ষা স্ক্রিনিং অতিক্রম করেই যেতে হয়। কিন্তু পাসপোর্ট ব্যাতিত এটা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। আমরা কর্তৃপক্ষকে তাদের তদন্তে সমর্থন করছি। ”
হোম অফিসটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা যায়। ৯/১১ এর পর হিথ্রো বিমানবন্দরে অনেক কড়াকড়ি হয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। তাই এই ঘটনা হিথ্রো বিমানবন্দর এবং বর্ডার ফোর্সের জন্য মারাত্মক বিব্রতকর বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ
এম.কে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪