যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত প্রায়ই সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। ব্রিটেনে জন্ম নেয়া এক শিশুকে যুক্তরাজ্য থেকে অপসারণের হুমকি দিয়েছে হোম অফিস। সেটা পরিনত হয়েছে টক অব দ্য কান্ট্রিতে। ইতোমধ্যে শিশুটির পরিবার হোম অফিসকে ভিসায় নিয়ম কার্যকর করে তাদের সিদ্ধান্তে নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
১৩ মাস বয়সী ম্যাসাহ গত বছরের এপ্রিলে মিডল্যান্ডসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ২০২১ সাল তার বাবা -মা উভয়ই ব্রিটেনে আইনীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার বাবা জর্দান থেকে পিএইচডি করার জন্য যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন।ম্যাসাহের মা তার বাবার ডিপেন্ডেন্ট হিসাবে এসেছিলেন
এই বছরের জানুয়ারিতে ম্যাসাহের পুরো পরিবার একসাথে হলিডেতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফিরে আসার সময় তারা সমস্যার মুখোমুখি হন। তখন ম্যাসাহকে যুক্তরাজ্য হতে অপসারণের হুমকি দেয়া হয়। এর কারণ হিসাবে হোম অফিস জানায় দেশ ছাড়ার আগে পরিবারটি ম্যাসাহর লিগ্যাল স্ট্যাটাসের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই। তাই যুক্তরাজ্যে হলিডে থেকে ফেরার সময় পুনরায় প্রবেশ করতে চাইলে হোম অফিস প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করে।
ম্যাসাহের বাবা-মা তাদের মেয়ের জন্য ডিপেন্ডেন্ট ভিসার জন্য আবেদনের চেষ্টা করেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। তবে তারা তন্মধ্যে হোম অফিসের কাছ থেকে একটি চিঠি পান যেখানে তাদের মেয়েকে অবিলম্বে যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ম্যাসাহর জন্য পুনরায় যুক্তরাজ্যে আসার আবেদন করতে বলা হয় নিজ দেশ হতে।
ম্যাসাহের বাবা মোহাম্মদ বলেছেন তিনি এবং তার স্ত্রী নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন চিঠি পাবার পর। তাদের পক্ষে স্থানীয় এমপি এবং আইনজীবীরা চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি মামলার ব্যাপারে।
ম্যাসাহের পরিবার মধ্য প্রাচ্যের বর্তমান অস্থিতিশীলতার পরিস্থিতির কারণে পুনরায় আবেদন করার জন্য তাদের বাচ্চাকে জর্ডানে নিয়ে যেতে চায় না। তাছাড়া তারা উদ্বিগ্ন নতুন আবেদন করলে তা এখন প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
হোম অফিসের সাথে স্কাই নিউজের পক্ষ হতে ম্যাসাহের কেইসের ব্যাপারে জানতে চাইলে হোম অফিসের এক মুখপাত্র স্কাই নিউজকে বলেন, ” সমস্ত ভিসা অ্যাপ্লিকেশনগুলি ইমিগ্রেশন বিধি অনুসারে স্বতন্ত্র। তাছাড়া চলমান কোনো কেইসের ব্যাপারে হোম অফিস মন্তব্য করতে অপারগ। ”
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন নীতিটি কঠোর করা হয়েছে দেশে আগত লোকের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য যা কনজারভেটিভ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্যতম ছিল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান হতে দেখা গিয়েছে নেট মাইগ্রেশনের হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন সাধারণ নির্বাচনের পরে রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের অপসারণ করা হবে। আপাতত এই ব্যাপারে কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
২৪ মে ২০২৪