0.6 C
London
November 21, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

৩৮ বছর ধরে ইউকেতে বাস করার পরও যুক্তরাজ্য হতে অপসারণের হুমকি

৩৮ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হোম অফিস কর্তৃক অপসারণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

৬১ বছর বয়সী অ্যান্টনি ওলুবুনমি জর্জ ১৯৮৬ সালে নাইজেরিয়া থেকে ২৪ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। তিনি তখন থেকে যুক্তরাজ্য বসবাস করে আসছেন এবং কোনও অপরাধ কখনও সংগঠিত করেন নাই বলে তথ্যমতে জানা যায়। ২০১৯ সালে তার দুটি স্ট্রোক হয় এরপর হতে তিনি কথা বলতে অক্ষম হয়ে পড়েন এবং শারিরীক গতিশীলতা হারান।

জর্জ যখন যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন তখন মার্গারেট থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জর্জ যুক্তরাজ্যে বহু সময় গৃহহীন অবস্থায় ছিলেন, অনেক বন্ধুবান্ধব তাকে তাদের ঘরে আশ্রয় দেন। জর্জ জানান নাইজেরিয়ায় তার কোনও ঘনিষ্ঠ পরিবার নেই।

জর্জ ইউকেতে থাকার জন্য বহুবার আই,এল,আর আবেদন করেছিলেন যদিও তা কখনও গৃহীত হয় নাই। সদ্য ৭ মে তারিখে তার আই,এল,আর আবেদন আবারও প্রত্যাখ্যাত হয়।

২০০৫ সালে, জর্জের পূর্ববর্তী সলিসিটর তার পাসপোর্টে একটি জাল স্ট্যাম্প লাগেয়েছিল বলে জানা যায়। যা পরবর্তীতে পুলিশ এবং আইনী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির কাছে রিপোর্ট করা হয়। তবে জর্জ গার্ডিয়ানকে বলেন তিনি তার পাসপোর্টে স্ট্যাম্পের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তার বর্তমান আইনজীবী কান্দিয়াহ, তার পূর্ববর্তী আইনী প্রতিনিধিত্বকে জর্জের আই,এল,আর প্রাপ্তিতে মূল সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছেন।

কান্দিয়াহ জর্জের সর্বশেষ আই,এল,আর আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন।

কান্দিয়াহ বলেন, “ আমার ক্লায়েন্ট ৩৮ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন কোনও পরিবার ছাড়াই। তার দুটি স্ট্রোক হয়েছে এবং শারীরিকভাবে তিনি খুবই দূর্বল। নাইজেরিয়ায় তার কোনও পরিবার নেই। তার এই হেন পরিস্থিতি কেবল হোম অফিসের নীতির কারণে নয়, পূর্ববর্তী সলিসিটার কর্তৃক জালিয়াতি ও দুর্বলভাবে প্রতিনিধিত্বের কারণেও ঘটেছে। ”

হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন,” আবেদন কারীদের আবেদন সফল হবার জন্য নিয়মের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। প্রত্যেকটি কেইস আলাদা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইমিগ্রেশন বিধি অনুসারে আবেদন করলে হোম অফিস আবেদন বিবেচনায় নিয়ে থাকে।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৯ মে ২০২৪

আরো পড়ুন

ইউক্রেনে ‘দ্য গ্রেট গেম’ ব্রিটেন – রাশিয়ার

বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে বৃটিশ অর্থনীতি

ভারতে পা দিয়েই যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী