৪ বছর ধরে আদালতের বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রতারণার শিকার এক ১০০ বছর বয়সী বৃদ্ধা। ব্রিটিশ আদালতের এই বিলম্বকে মিনিস্ট্রি অব জাস্টিসের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করা হয়।
২৯ জুন বিচার সংক্রান্ত প্রশ্নে কোর্ট মিনিস্টার ক্রিস ফিল্প বলেন, মহামারির কারণে সৃষ্ট সমস্যা থেকে আদালতকে সাহায্য করতে সরকার শক্তিশালী ও বিশদ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
লেবার পার্টির সাংসদ অ্যালেক্স ডেভিস-জোনস হাউজ অব কমন্সকে বলেন, আদালতের এই বিলম্বের ফলে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমার আসনের ১০০ বছর বয়স্ক ভোটার তার সাথে জালিয়াতির মামলার জন্য চার বছর ধরে অপেক্ষমান রয়েছেন। একজন প্রাক্তন কেয়ারার এক মিলিয়ন পাউন্ডের এক চতুর্থাংশেরও বেশি তসরুফ করেছে ঐ ১০০ বছরের বৃদ্ধার কাছ থেকে।
ডেভিস-জোনস বলেন, চার বছরেরও বেশি সময় আগে মামলাটি শুরু করা সত্ত্বেও, এই প্রবীণ নারী এখনও অপেক্ষা করছেন এবং তার জীবদ্দশায় ন্যায়বিচারের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না। মন্ত্রী এই মামলাটি সম্পর্কে জানেন কারণ আমি একাধিকবার তার বিভাগে চিঠি দিয়েছি।
কোর্ট মিনিস্টার জবাবে জানান, কখনও কখনও মামলা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আইনি কারণ থাকে। এদিকে ওয়েলসের আদালত ব্যবস্থা অনেক ভালো কাজ করছেন বলে দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, মহামারি চলাকালে বেশ কিছু বিলম্ব তৈরি হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সৃষ্ট ব্যাকলগ অর্ধেকের মতো দূর হয়েছে, গত বছরের আগস্টে যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিরাজ করছিল। এসব কোর্টের আউটস্ট্যান্ডিং মামলার সংখ্যা সপ্তাহে ২ হাজারটি করে কমছে।
১ জুলাই ২০২১
এনএইচ