অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ওয়ান ন্যাশন পার্টির নেতা ও সিনেটর পলিন হ্যানসনের বোরকা পরে প্রবেশের কারণে। দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামিক পোশাক নিষিদ্ধের দাবিতে প্রচারণা চালানো হ্যানসনের এই পদক্ষেপকে সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষ তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
সিনেট চেম্বারে মুখ ঢেকে রাখা বোরকা পরে প্রবেশ করার পর অধিবেশন স্থগিত করা হয় এবং তাকে পোশাক খুলে ফেলতে বলা হয়। হ্যানসন তা করতে অস্বীকার করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এটি ২০১৭ সালের পর দ্বিতীয়বার সংসদে তার এমন আচরণ।
ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে হ্যানসন লেখেন, “যদি তারা না চায় আমি এটি পরি, তাহলে বোরকা নিষিদ্ধ করুক।” এর আগে একটি বিল অনুমোদনের জন্য অনুরোধ না মেনে হ্যানসন প্রতিবাদ স্বরূপ বোরকা পরে সিনেটে প্রবেশ করেছিলেন। ওই বিলের মাধ্যমে দেশে বোরকা ও পূর্ণ-মুখ আবরণ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব ছিল।
গ্রিনস দলের সিনেটর মেহরিন ফারুকি হ্যানসনের কর্মকাণ্ডকে “নির্লজ্জ বর্ণবাদ” বলে আখ্যা দেন। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্বতন্ত্র সিনেটর ফাতিমা পাইমানও ঘটনাটি “লজ্জাজনক” হিসেবে উল্লেখ করেন।
সরকার ও বিরোধী শীর্ষ নেতৃবৃন্দও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। লেবার সরকারের সিনেট নেতা পেনি ওং বলেন, হ্যানসনের এই আচরণ “অস্ট্রেলিয়ার সিনেটের একজন সদস্যের উপযুক্ত নয়।” তিনি হ্যানসনের বিরুদ্ধে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেন। বিরোধী জোটের ডেপুটি সিনেট লিডার অ্যান রাস্টনও একই ধরনের নিন্দা জানান।
হ্যানসন পরে স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়াকে জানান যে তিনি মুসলিমদের ব্যঙ্গ করেননি এবং সব ধর্মের মানুষের প্রতি তার সম্মান রয়েছে। তবে তার এই কর্মকাণ্ড অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের স্রোত সৃষ্টি করেছে।
সূত্রঃ এলবি ২৪ / স্কাই নিউজ
এম.কে

