অ্যাসাইলামপ্রার্থীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে বরিস জনসনের সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়, ইংলিশ চ্যানেলের ওপারে অর্থাৎ ফ্রান্সে অবস্থানরত আশ্রয়প্রার্থীদের টার্গেট করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রচারে ২৩ হাজার পাউন্ডের বেশি খরচ করেছে হোম অফিস।
কুর্দি, আরবি, ফারসি ও পাশতু ভাষায় অনুবাদ করে- ‘লুকানোর কোনো জায়গা নেই’, ‘আপনার বা আপনার সন্তানের জীবন বিপদে ফেলবেন না’, ‘আমরা আপনাকে ফেরত পাঠিয়ে দিব’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত বিজ্ঞাপন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রচার হতে দেখা গিয়েছে।
তবে ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপকে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে, কারণ চলতি বছর রেকর্ড সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী যুক্তরাজ্যের উপকূলে এসেছে। অনেকে আবার এউ পদক্ষেপুকে অর্থের অপচয় বলে আখ্যায়িত করেছে।
এদিকে ইংলিশ চ্যানেলের ঝুকিপূর্ণ পথ পারি দিতে আগের থেকে বেশি দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে দেখা গেছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের।
আফগানিস্তানের ১৬ বছর বয়সী এক বালককে বলতে দেখা গেছে, আমার যুক্তরাজ্য যাওয়া প্রয়োজন। এর জন্য আমি যে কোনো কিছু করতে রাজি আছি। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে প্রায় দুই হাজার অভিবাসী অবস্থান করছেন এবং ছোট নৌকা বা লরিতে করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন।
চলতি বছর যুক্তরাজ্যের উপকূলে পৌঁছাতে রেকর্ড সংখ্যক লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন। ব্রিটিশ হোম অফিস বহু চেষ্টা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এই প্রচেষ্টা ঠেকাতে পারছে না।
হোম অফিস বলছে, এসব অনলাইন বিজ্ঞাপন হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং যাত্রা পথে জীবনের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেছে।
প্রেস আসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ মাসের এই বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেইন শেষ হওয়ার পর থেকে সাত হাজারের বেশি লোক ছোট ছোট নৌকায় চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।
২৯ জুলাই ২০২১
এনএইচ