TV3 BANGLA
আমেরিকাশীর্ষ খবর

আমেরিকায় অভিবাসন আইন ও মানুষের ভোগান্তি

ট্রাম্প শাসনামলের বিতর্কিত অভিবাসন আইন ‘টাইটেল ফর্টি টুর’ মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১১ মে। তিন বছরের বেশি চালু থাকার পর মার্কিন অভিবাসন নীতিতে নাটকীয় একটি বদল ঘটতে চলেছে এ আইনের মেয়াদ শেষ হবার মধ্যে দিয়ে।

সমালোচিত এ আইন উঠে যাবার মুহূর্তে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের ঢল নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সীমান্তে কর্মকর্তারা বলছেন তাদের ধারণা মধ্যে আইন বদলানোর পর প্রতিদিন ১০ হাজার করে অভিবাসীর ঢল নামবে সীমান্তে।

আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে কড়া রোদের মধ্যে শুকনো বালুর বিরান ভূমিতে এখনই শত শত মানুষ শুধু এই আইন উঠে যাবার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।

 

 

 

 

মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বীকার করেছেন, ‘কিছু সময়ের জন্য সেখানে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।’ কারণ মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় ঢোকার জন্য বহু মানুষের অপেক্ষা ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে।

অভিবাসন কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে চালু হওয়া এ আইনের কড়া সমালোচনা করেছেন এবং কিছু কিছু ডেমোক্র্যাট সদস্য বলেছেন এ নীতির কারণে বহু আশ্রয়প্রার্থী আমেরিকায় ঢুকতে পারছেন না।

অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা এখনো যুক্তি দেখাচ্ছেন বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হওয়া রুখতে এ আইনের প্রয়োগ এখনো বলবৎ রাখা উচিত। সীমান্তে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য তারা দুষছেন খোদ প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে।

ফলে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে অভিবাসন ইস্যুতে এ আইন ক্রমশই তীব্র একটা বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠছে।

 

 

 

 

 

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সীমান্তের এ দৃশ্য খুবই বিরল। আমেরিকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাধারণত রাখা হয় হুয়ারেজ শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকদিনে সীমান্তে যে পরিমাণ মানুষ জড়ো হয়েছেন তা ব্যাপক। এ ঢল সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।

এত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া অসম্ভব বলে তারা বলছেন। কয়েক দশক ধরে সীমান্তে কাজ করছেন এমন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এ ধরনের দৃশ্য তারা কখনো দেখেননি।

সেখানে জড়ো হওয়া অধিকাংশ মানুষ বলেছেন এ সপ্তাহে আমেরিকায় ঢোকার আইন বদলাচ্ছে এমনটা তারা শুনেছেন। কিন্তু অভিবাসীদের জন্য এ পরিবর্তনের অর্থ কী তা নিয়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে ভুয়া খবর এবং তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

অনেকেরই ধারণা কোভিডের সময় চালু হওয়া ‘টাইটেল ফর্টি টু’ যার আওতায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের সহজেই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সুযোগ ছিল। তা উঠে গেলেই আমেরিকায় ঢোকার পথ সহজ হবে। আর ওই কারণেই দলে দলে এত মানুষ সীমান্তে এসে ভিড় জমিয়েছেন।

আরো পড়ুন

স্যার মো ফারাহ বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেনা যুক্তরাজ্যের হোম অফিস

যুক্তরাজ্যে ‘নাইটক্লাবে সুচ ফোটানো’, ২ জন আটক

ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংসের পক্ষে জাতিসংঘের ১৫২ দেশ