12 C
London
March 4, 2025
TV3 BANGLA
ইউরোপ

ইইউ অভিবাসন চুক্তি: যা জানা প্রয়োজন

অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন চুক্তিটি গত ২০ ডিসেম্বর সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে৷ এতে অভিবাসন নিয়ে পুরো ব্লকের উদ্যোগ বাস্তবায়নে জোর দেয়া হয়েছে৷

ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলি অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত নতুন চুক্তির পাঁচটি আইনি ধারায় রাজনৈতিক সম্মতিতে পৌঁছেছে।

আরও একাধিক ধারায় এখনো একমত হওয়া বাকি আছে৷ সেগুলো তৈরি ও অনুমোদনের জন্য এখন আলোচনা এগিয়ে যাবে, যা অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় সংসদ উভয়কেই পাস করতে হবে।

ইইউ সীমান্তে আসার সাত দিনের মধ্যে অভিবাসীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যেখানে তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষাও করা হবে৷

ছয় বছর বা তার বেশি বয়সিদের বায়োমেট্রিক ফেসিয়াল ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা ইইউর ইউরোড্যাক তথ্যব্যাঙ্কে সংগ্রহ করা হবে৷

যারা সমুদ্রে উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে এসেছেন, তাদের আলাদাভাবে নিবন্ধিত করা হবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট স্ক্রিনিং পদ্ধতির অধীনস্থদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী, স্বাধীন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার অনুরোধ করেছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ফিল্টারিং। যেসব দেশ থেকে কম আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে, তাদের জন্য একটি ফাস্ট ট্র্র্যাক পদ্ধতি চালু করা হবে, যাতে সবাই অন্তত আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদন করার সুযোগ পান৷ তাদের বিশেষ অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখা হবে৷

এই অনুরোধগুলো তিন মাসের মধ্যে মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যান করতে হবে৷ যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে, তাদের তিন মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন করতে হবে৷

এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হবে শিশুসহ পরিবার এবং অভিভাবকহীন নাবালকদের, যদি তারা কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি না করে।

এই মুহূর্তে প্রতি বছর ৩০ হাজার জনকে সেবা দেয়া হবে৷ তবে কেন্দ্রগুলোর এক লাখ ২০ হাজার জনের সেবা দেবার সুযোগ রয়েছে৷

এম.কে
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

ইউরোপে ফ্লাইট বিপর্যয়ের শঙ্কা

২২তম সন্তানের পর আর বাচ্চা নিবে না ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবার

অনলাইন ডেস্ক

আট শতাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে জার্মানি