ইউকে কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন অক্টোবর মাস হতে সীমান্তে নতুন করে বিশৃঙ্খলা শুরু হতে পারে। ইইউ খুব শীঘ্রই বায়োমেট্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চোখ এবং আঙুলের ছাপের স্ক্যান করতে হবে যাতে সময়ক্ষেপণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
অক্টোবর মাস থেকে সমস্ত নন-ইইউ নাগরিককে ইউরোপীয় সীমান্তে প্রবেশে বা প্রস্থানে বায়োমেট্রিক এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
এই স্কিমটি চালু হলে ব্রিটিশ নাগরিকদের ইউরোপীয় সীমান্তে প্রবেশ বা প্রস্থানে মুক্ত চলাচলের পরিসমাপ্তি ঘটাবে। যদিও ফ্রন্টেক্স দ্বারা প্রস্তুত একটি অ্যাপ্লিকেশন ডেটা নিবন্ধকরণের প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য কাজ করছে যা এখনও সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত নয়।
অ্যাপটির উদ্দেশ্য হ’ল নন-ইইউ নাগরিকদের সীমান্ত ক্রসিংয়ের আগে বিশদ বিবরণ নিবন্ধন করার অনুমতি দেওয়া।
ইইউর দৃষ্টিকোণ থেকে এই বায়োমেট্রিক প্রকল্পের সুবিধা হ’ল এটি অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে একটি সহজ পদক্ষেপ। তাছাড়া ইউরোপীয় জোনে নন-ইইউ নাগরিকরা তাদের ভ্রমণের নির্দিষ্ট নিয়মতান্ত্রিক তারিখ এই ব্যবস্থায় অতিক্রম করতে পারবেন না। ইউরোপীয় জোনে প্রবেশ এবং প্রস্থানে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করার প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস পাবে।
এই প্রকল্পটি ২০১৭ সালে গৃহীত হয় যা ২০২১ সালে শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্যারিস অলিম্পিকের জন্য ফ্রান্স সর্বশেষ স্থগিতাদেশ দেয়। বর্তমানে এই বায়োমেট্রিক প্রকল্প অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ হতে চালু হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তথ্যমতে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার ইউরোপীয় কমিশনের সাথে আরও বেশি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুললে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৯ জুলাই ২০২৪