নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আকাশপথে নেটওয়ার্ক বাড়াতে চায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তাই বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা গাল্ফ এয়ারের সঙ্গে কোড শেয়ারিং চুক্তি করতে যাচ্ছে বিমান।
মূল কথা, ইউরোপের আকাশে চোখ পড়েছে বিমানের। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতিও নিচ্ছে সংস্থাটি।
গাল্ফ এয়ার বর্তমানে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার প্রায় ৫০টি গন্তব্যে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে। একটা সময় এ বিমান সংস্থাটি ছিল বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমানের একমাত্র আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোড শেয়ারিং বাস্তবায়িত হলে এখন যে রুটগুলোয় ফ্লাইট চালানোর অনুমোদন আছে, কিন্তু ফ্লাইট নেই, সেই রুটগুলোয় নিজেদের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবে বিমান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিমান গত কয়েক বছর ধরেই বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কোড শেয়ারিং চুক্তি করার চেষ্টা করছে। এ তালিকায় জাপান এয়ার ও এয়ার কানাডার মতো এয়ারলাইন্সের নামও আছে। তবে সেগুলো এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। ইতোমধ্যে কানাডার টরন্টোয় ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। এছাড়া, জাপানের নারিতায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ফ্লাইট শুরুর কথা রয়েছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
এ বিষয়ে বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, বিমানের সঙ্গে এই প্রথম বাংলাদেশের ইতিহাসে কোড শেয়ারিং হচ্ছে। থার্ড টার্মিনাল হচ্ছে বা কক্সবাজারের বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশকে যদি আমরা হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, তাহলে বিমানকেই এগিয়ে আসতে হবে।
শফিউল আজিম বলেন, আমাদের সঙ্গে গাল্ফ এয়ারের এই প্রথম কোড শেয়ারিং হচ্ছে। আমাদের ইউরোপে প্যাসেজ না থাকলেও এই কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমরা ইউরোপে আমাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে পারব। তাদের উড়োজাহাজে আমাদের বোর্ডিং পাস নিয়ে যাত্রীরা যেতে পারবেন।
এম.কে
২৯ মে ২০২৩