বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লাখ মানুষ গেল বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০০৮ সাল থেকে পাওয়া হিসাবে সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরাও। গেল বছর প্রায় ৩৪ হাজার বাংলাদেশি ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় আবেদন-সংক্রান্ত সংস্থা ইইউএএ বুধবার এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
২০২১ সালে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ইইউ প্লাস (ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড) দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন। এবার এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। অনিয়মিত উপায়ে আসা ৩৩ হাজার ৭২৯ জন বাংলাদেশি ২০২২ সালে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
ইইউএএ’র তথ্য অনুযায়ী, তুর্কি, ভেনেজুয়েলান, কলম্বিয়ান, বাংলাদেশি ও জর্জিয়ানদের আবেদনের সংখ্যা অন্তত ২০০৮ সালের পর সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০২২ সালে ইইউ প্লাস দেশগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৯ লাখ ৬৬ হাজার অভিবাসী আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি এবং ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর বাইরে গত বছর প্রায় ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় সাময়িক সুরক্ষার আওতায় ইউরোপে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন। ইইউএএ জানিয়েছে, ইউক্রেনীয়দের এই সাময়িক সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে গিয়ে গোটা আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার ওপরই বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নতুনদের জায়গা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
নিজ দেশে বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা ও রাজনৈতিক কারণে কেউ নির্যাতনের শিকার হলে বা কারও জীবন হুমকির মুখে থাকলে তিনি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলোতে সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করতে পারেন।
এম.কে
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩