ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ লন্ডন থেকে দুবাই ও কাতারের দোহার সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। রবিবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী একটি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ফ্লাইট পাঁচ ঘণ্টা ধরে আকাশে ওড়ার পর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠায়, ফ্লাইটটি হিথ্রোতে ফেরার মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় এটি অবতরণ করে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দরে।
রবিবার হিথ্রো থেকে দুবাই ও দোহাগামী সকল ফ্লাইট এবং তাদের ফিরতি যাত্রাও বাতিল করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এর ফলে দুবাইয়ে আটকে পড়েছেন এক হাজারের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এক বিবৃতিতে জানায়, “সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে আমরা ফ্লাইট সূচিতে পরিবর্তন এনেছি। আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আমরা যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাচ্ছি।”
ইসরায়েলও রবিবার তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায়।
এমিরেটস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, হিথ্রো, স্ট্যানস্টেড, বার্মিংহাম এবং গ্যাটউইক থেকে তাদের ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে।
দুবাইয়ে আটকে পড়া ব্রিটিশ নাগরিক অ্যালেক্স কেয়ার্নস বলেন, “পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চাই।” তিনি জানান, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের টিকিট বাতিল করে তিনি কাতার এয়ারওয়েজে নতুন টিকিট বুক করেছেন।
দুবাই ইরানের মূল ভূখণ্ড থেকে মাত্র ১০০ মাইল দূরে হওয়ায় যাত্রীরা নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগে রয়েছেন। পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
সূত্রঃ এক্সপ্রেস
এম.কে
২৩ জুন ২০২৫