ইসরায়েলি বোমা হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ২৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। গতকাল শনিবার গাজা-ভিত্তিক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশ কিছু মসজিদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এছাড়া ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, কোরআন রেডিও স্টেশন ও একটি গির্জা ধ্বংস হয়েছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার ওপর আগ্রাসন এবং বেসামরিক মানুষ, মসজিদ ও গির্জার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে ইসলামিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ শুরু করলে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও অবরোধের অধীনে রয়েছে গাজা। হামলার কারণ হিসেবে হামাস জানিয়েছিল, আল-আকসা মসজিদে হামলার ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরপর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সোর্ডস অব আয়রন’ শুরু করে।
ক্রম বর্ধমান হামলায় ভয়ানক মানবিক সংকটের মুখে রয়েছে গাজা। বিদ্যুৎবিহীন এ অঞ্চলে শেষ হয়ে আসছে পানি, খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘মানবিক দুর্ভোগ কমাতে’ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক হাজার ৭৫৬ শিশু ও এক হাজার নারীসহ কমপক্ষে চার হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে এই সংখ্যা এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি।
এম.কে
২২ অক্টোবর ২০২৩