সুদের হারের ধারাবাহিক বৃদ্ধির কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি করতে পারেনি।
যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট বলেন, ‘সুদের উচ্চ হার অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে। তবে সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে এ বছর প্রত্যাশার চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে অর্থনীতি।’
পূর্বাভাসকারীরা পরামর্শ দেন যে অর্থনীতি আগামী আরো কয়েক মাস ধরে স্থবির পর্যায়ে চলতে থাকবে।
গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানায়, যুক্তরাজ্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত শূন্য প্রবৃদ্ধি দেখতে পাবে। যদিও এটি মন্দা এড়াতে আশা করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার জন্য পরপর ১৪ বার সুদের হার বাড়িয়েছিল।
যদিও সুদের হার বাড়িয়েও মুদ্রাস্ফীতি কমানো যায়নি। যে গতিতে দাম বেড়েছে, এটি ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের কাঁধে ঋণের বোঝা ভারী করেছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে।
বর্তমানে সুদের হার ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এটা আরো কিছু দিন উচ্চ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি সম্প্রতি বলেন, ‘সুদের হার কমানোটা এ মুহূর্তে”ভাবা হচ্ছে না।’
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল ডেলস বলেন, ‘সাম্প্রতিক তথ্য বলছে উচ্চ সুদের হার টেনে ক্রমান্বয়ে বড় করা হচ্ছে।’ তিনি আশা করেন না যে ব্যাংক পরের বছর সুদের হার কমানো শুরু করবে।
এম.কে
১১ নভেম্বর ২০২৩