যুক্তরাজ্যের একটি কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে কাজের সময়ে এক ঘণ্টারও কম সময় ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা চাকুরিচ্যুতির কারণ হতে পারে না। এই রায়ে একজন অ্যাকাউন্টেন্সি প্রশাসক মিসেস এ লানুশকা তার চাকরি থেকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত হয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
মিসেস লানুশকা ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তার নিয়োগকর্তা স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে দেখেন যে তিনি রাইটমুভ ও অ্যামাজন-এর মতো সাইটে ব্যক্তিগত কাজ করেছিলেন। এর ভিত্তিতে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে বিচারক রায় দেন যে, বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অন্যায় ছিল।
বিচারক মাইকেল মাগি উল্লেখ করেন, বরখাস্তের সময় ব্যবসার মালিকের বোনের যুক্তরাজ্যে স্থায়ী স্থানান্তরের সঙ্গে মিলে যায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মিসেস লানুশকা দুই বছরের কাজের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে বরখাস্ত করা হয়েছিল, যা যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী অন্যায়।
বিচারক আরও জানান, মিসেস লানুশকার কম্পিউটারে ব্যয়কৃত সময়ের বড় অংশ পেশাগত উন্নয়ন যেমন এক্সেল প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। আদালত রায় দেন, কোনো নিয়ম বা নীতি মিসেস লানুশকার সামনে ছিল না যা বলত কম্পিউটার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও, মিসেস ক্রাউজ নিজেও কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন।
মিসেস লানুশকার অতীতে কোনো আচরণগত সমস্যা ছিল না এবং তিনি কোনো সতর্কবার্তা পাননি। বিচারক মিসেস ক্রাউজের প্রদত্ত ডায়েরি এন্ট্রিগুলোকেও সমালোচনা করেছেন, কারণ সেগুলো ২০২৪ সালে লেখা হয়েছিল, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০১ অক্টোবর ২০২৫