ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননায় বিশ্বের অনেক দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ডেনমার্ক। শুক্রবার দেশটি এ সংক্রান্ত এক আইন প্রস্তাব করেছে।
ডেনমার্কের বিচারমন্ত্রী পিটার হামেলগার্ড সাংবাদিকদের বলেন, সরকার একটি বিল উপস্থাপন করবে, যেখানে ‘একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় গুরুত্বের বস্তুর প্রতি অনুপযুক্ত আচরণ নিষিদ্ধ করবে।’ আইনটি বিশেষ করে জনসমাগমস্থলে অগ্নিসংযোগ ও অপবিত্রতাকে লক্ষ্য করবে বলেও মন্ত্রী জানান।
হামেলগার্ড বলেন, কোরআন পোড়ানো ‘মৌলিকভাবে অবমাননাকর ও সহানুভূতিহীন কাজ’, যা ‘ডেনমার্ক ও এর স্বার্থের ক্ষতি করে’। হামেলগার্ড জানান, নতুন আইনটি ডেনমার্কের দণ্ডবিধির ১২ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
নিষেধাজ্ঞার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান ‘অনুপ্রেরণা’ উল্লেখ করে বিচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বসে থাকতে পারি না, যখন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি সহিংস প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। যারা আইন ভঙ্গ করবে তাদের জরিমানা ও দুই বছরের জেল হতে পারে।
এদিকে পবিত্র কোরআন পোড়ানো বন্ধ করতে দেশের আইন সংশোধনের কথা জানিয়েছে সুইডেন সরকার। আইন সংশোধন হলে যে কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি দেবে পুলিশ।
শুক্রবার রাজধানী স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে সুইডেনের বিচারমন্ত্রী গানার স্ট্রম জানান, দেশের আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে শিগগিরই একটি কমিশন নিয়োগ দেওয়া হবে। সুইডেনের বিতর্কিত বাকস্বাধীনতা আইনের কারণে দেশটিতে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটছে। এতদিন এই আইন পরিবর্তনের বিষয়টি নাকচ করে আসছিল সরকার।
গানার স্ট্রম বলেন, সম্প্রতি দেশে টানা বেশ কয়েকটি কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে সুইডেনের বিরুদ্ধে হুমকি আসছে। ফলে সুইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তাকে আমরা কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না।
সম্প্রতি সুইডেনে বেশ কয়েকটি কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সমগ্র বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকি বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির উদ্যোগে জাতিসংঘে সুইডেনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এম.কে
২৬ আগস্ট ২০২৩