বাজারে স্বাস্থ্যকর খাবার ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। ফলে ব্রিটিশ পরিবারগুলোয় খাবারের স্বাস্থ্যমান কমছে। ২৮ শতাংশ ব্রিটিশ স্বীকার করেছে, খাবার নির্বাচন করার আগেই তারা মূল্য বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে। সুপারমার্কেটে যাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে, বেড়েছে দোকানে তৈরি খাবার কেনার প্রবণতা। এ তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত জরিপে।
বাজার, রান্না ও খাদ্যাভ্যাসকে অন্তর্ভুক্ত করে তৈরি হয়েছে জরিপটি। দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনে তিনজন অর্থাৎ ৬০ শতাংশই ব্রিটিশ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছে। আর পরিবর্তনের প্রধান অনুঘটক ছিল জীবনযাপনের খরচ বেড়ে যাওয়া। জরিপে অংশ নেয়া ১৬ শতাংশ মানুষ খাবার তৈরির উপাদানের তালিকা থেকে মসলা ছাঁটাই করেছে। ১২ শতাংশ জানিয়েছে, তারা আগের তুলনায় কম প্রোটিন খায়। তাদের অনেকে আবার দুপুরে প্যাকেটজাত খাবার খায় খরচ বাঁচানোর জন্য।
জরিপে দেখা যায়, ১৯ শতাংশ মানুষ তৈরীকৃত খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কারণ বাজারে তৈরি খাবারের দাম তুলনামূলক কম। অন্যদিকে, ১৭ শতাংশ মানুষ কমিয়ে দিয়েছে রান্নার পরিমাণ। চাহিদা কমায় প্রভাব পড়েছে সুপারমার্কেটগুলোয়ও।
জরিপে অংশগ্রহণ করা ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করে, সুপারমার্কেটে পণ্য ক্রয়ের সময় তারা দামের বিষয়টি সবার আগে বিবেচনা করে। জরিপের ৬১ শতাংশ মানুষকেই কোনো না কোনোভাবে আঘাত করেছে খাদ্যপণ্যের দাম। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ার ব্যয় বহন করতে পারবে কিনা, সেটা বিবেচনা করছে। তার পরও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে দাম।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন, খাবার খাওয়ার সময় তাদের উচ্ছিষ্ট এখন আগের তুলনায় কম। কারণ তারা খরচ কমাতে চায়। এজন্য তাদের খাবার মেন্যু আগের চেয়ে সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন করা হয়। সাধারণত চারটি আইটেম মানুষ কমিয়ে দিয়েছে। ৩১ শতাংশ মানুষই খাবারের সঙ্গে সালাদ খাওয়া কমিয়েছে। ২৯ শতাংশ কমিয়েছে ব্রেডের পরিমাণ, ২৪ শতাংশ ফল এবং ২৩ শতাংশ কমিয়েছে সবজির পরিমাণ।
খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধি ও গৃহস্থালি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় লাখো মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জরিপ হতে জানা যায়।
এম.কে
০৫ অক্টোবর ২০২৩