রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকায় নারী প্রতারক চক্রের শতাধিক সদস্যের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতো বিপুল পরিমাণ অর্থ।
সম্প্রতি মাদক মামলায় মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে জামিন আবেদন।
সোমবার (০২ আগস্ট) দুপুরে এই দুজনকে তোলা হয় আদালত। মাদকের মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, তারা স্বীকার করেছে তারা ব্ল্যাক মেইলিং চক্রের সদস্য। শুধু দু’জনও নয়, এরকম শতশত রয়েছে। তারা দুইটি কাজ করছে একটা হলো তরুণ-তরুণীদের মাদকে আসক্তি করছে। আরেকটি হলো রাতে পার্টি আয়োজন করে অশ্লীল ছবি তুলে সেগুলো তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে হুমকি দিত।
খুব শিগিগিরই তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পার্টির নামে বিত্তবানদের বাসায় ডেকে এনে মদ ও ড্যান্সপার্টির ব্যবস্থা করতো। এরপর আপত্তিকর ছবি তুলতো। এরকম অভিযোগে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ’কে। বারিধারার ৯ নম্বর রোডে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার বাসা থেকে মদ, ইয়াবা, সিসাসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইল চক্রের সদস্য মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ। তারা অর্থশালী ব্যক্তি বা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতো। পিয়াসা ও মৌ রাতে তাদের বাসায় মাদক সেবন এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আসর বসাতো বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৩ আগস্ট
নিউজ ডেস্ক