বৃটিশ গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রিন্স হ্যারি তার ব্যক্তিগত ফোন-ট্যাপিং এবং প্রিন্সের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি এরজন্য ডেইলি মেইল সংবাদপত্রের প্রকাশককে দায়ী করেছেন।
যদিও ডেইলি মেইল তাদের উপর দেওয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আগামী সোমবার উচ্চ আদালতে অভিযোগের শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকের সিদ্ধান্তের উপর পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে।
খবরে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে ডিউক এবং ডাচেস অফ সাসেক্সের ট্যাবলয়েড প্রেসের বিরুদ্ধে আনা বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে এটি একটি।
ডিউক অফ সাসেক্স এবং অ্যাসোসিয়েটেড নিউজপেপারস লিমিটেডের মধ্যে এই মামলা লন্ডনের হাইকোর্টে পরিচালিত হবে।
৩৮ বছর বয়সী প্রিন্স হ্যারি ইতিমধ্যে অভিনেত্রী এলিজাবেথ হারলি, সাদি ফ্রস্ট, স্যার এল্টন জন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেভিড ফার্নিশ সহ অন্যদের ব্যাপারেও একইভাবে দীর্ঘদিন হতে অভিযোগ করে আসছেন।
ব্রিটেনের অন্যতম বৃহত্তম মিডিয়া প্রকাশক, অ্যাসোসিয়েটেড নিউজপেপারস লিমিটেড (এএনএল) ডেইলি মেইল, দ্য মেইল অন সানডে এবং মেইল অনলাইনের প্রকাশক।
অ্যাসোসিয়েটেড নিউজপেপারস লিমিটেড এই মামলায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার আবেদন জানান আদালতের কাছে।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রিন্স হ্যারি যে অভিযোগগুলি করেছেন তার মধ্যে রয়েছে,
বেসরকারী তদন্তকারীদের তার বিরুদ্ধে তথ্য যোগাড় করার জন্য নিয়োগ দেওয়া, যারা গোপনে মানুষের গাড়ি এবং বাড়ির ভিতরে ডিভাইস স্থাপন করে। তাছাড়া বিভিন্ন লোকের সাথে করা ফোনালাপ ফোন ট্যাপ করে শোনে থাকে। ক্লিনিক এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি হতে চিকিৎসা সম্পর্কিত প্রিন্সের তথ্য নেয়া। অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন ধরনের হেরফেরের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ও বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা।
খবরে জানা যায়, অ্যাসোসিয়েটেড নিউজপেপারস লিমিটেড প্রিন্স হ্যারির করা সব অভিযোগগুলি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে আসছে এবং তারা আদালতের কাছে সঠিক আইনী পদক্ষেপের জন্য আবেদন জানায়।