গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাসায় পুলিশ যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
আজ বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, আজ দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক দেশ রূপান্তর, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক নয়া দিগন্ত, এনটিভি অনলাইন ও সাম্প্রতিক দেশকালসহ বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আসল তথ্য যাচাই–বাছাই না করে ‘প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তার করতে বাসায় পুলিশ’ শিরোনাম একটি সংবাদ পরিবেশন করেছে।
আদালতের নথি যাচাই করে দেখা যায়, প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০১৮ সালের ‘সিআর মামলা নং ২০৭১ / ২০১৮ (কোতোয়ালি) ’ মামলার একজন আসামি। প্রয়াত আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার স্বার্থে ‘ম্যাজিস্ট্রেটের রেকর্ডের জন্য আদেশনামা’ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আসামির মৃত্যুবরণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, গুলশান থানা, ঢাকা আদেশপ্রাপ্ত হয়েছেন। আদালতের আদেশ পালনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ আসামির ঠিকানায় ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ সংগ্রহ করার জন্য যায়।
আমরা মনে করি, প্রকাশিত সংবাদ শিরোনামটি বস্তুনিষ্ঠ ঘটনাটিকে পাশ কাটিয়ে অসত্যভাবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। তবে আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি কয়েকটি গণমাধ্যম সঠিক বিষয়ের সঙ্গে প্রয়াত মইনুল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের প্রতিক্রিয়া তুলে এনেছে।
এমতাবস্থায়, জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার স্বার্থে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সংশোধিত সংবাদ পরিবেশনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এম.কে
০১ আগস্ট ২০২৪