TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধানের পদত্যাগ

চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান, আর্চবিশপ অফ ক্যান্টারবারি ও বিশ্বব্যাপী অ্যাংলিকান সমাজের আধ্যাত্মিক নেতা জাস্টিন ওয়েলবি পদত্যাগ করেছেন।

এর আগে একটি তদন্তে দেখা যায়, খ্রিস্টান সামার ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবকরা যে দৈহিক ও যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে তা জানা মাত্র পুলিশকে তা জানাতে তিনি ব্যর্থ হন।

বৃহস্পতিবার থেকেই ওয়েলবির ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হলে চার্চের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর জবাবদিহিতার অভাবের কারণে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

বিশপ অফ নিউ ক্যাসেল হেলেন-অ্যান হার্টলি সোমবার বলেন, তার অবস্থান কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

এর আগেই চার্চের জাতীয় পরিষদের কিছু সদস্য এক আবেদনে ওয়েলবির পদত্যাগের দাবি জানান।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার ধর্মীয় যাজকদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছন।

ওয়েলবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সরে দাঁড়ানোটা চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সর্বাত্মক স্বার্থের সপক্ষে। কারণ আমি এটিকে (চার্চ অফ ইংল্যান্ডকে) ভীষণ ভালোবাসি এবং যেখানে আমি কাজ করে সম্মানিত বোধ করেছি।’

সব চেয়ে বড় প্রতিবাদ আসে একজন সুপরিচিত আইনজীবি জন স্মিথের ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে। জন স্মিথ ব্রিটেন, জিম্বাবওয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গত পাঁচ দশক ধরে অনুষ্ঠিত খ্রিস্টান সামার ক্যাম্পে কিশোর ও তরুণদের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন চালান।

অ্যান্ড্রু মোর্সকে পাঁচ বছর ধরে বার বার প্রহার করেন স্মিথ। তিনি বলেন, পদত্যাগ করাটাই ওয়েলবির জন্য সেই ক্ষতি পুষিয়ে তোলার সুযোগ।

ওয়েলবির পদত্যাগের আগেই মোর্স বলেন, ‘আমার মনে হয় এখনই তার পদত্যাগ করার সুযোগ। আমি এটাকে সুযোগ বলছি এ কারণে যে এটাই তাকে সুযোগ করে দেবে স্মিথের ভুক্তভোগীসহ সকল ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানো, যাদের প্রতি চার্চ অফ ইংল্যান্ড তাদের নিজেদের নিপীড়নের ব্যাপারে ঠিক মতো ব্যবহার করেনি।’

২০২২ সালে চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যাজকদের কর্তৃত্বের বশবর্তী হওয়ায় যৌনতা বিষয়ে আলোচনায় অনুচ্চার্য হয়ে ওঠে সেই রকম সংস্কৃতি অভিযুক্ত অপরাধীদের প্রতি সমর্থন যোগায় আর তাই চার্চ অফ ইংল্যান্ড এমন এক স্থান হয়ে ওঠে যেখানে এই নিপীড়করা লুকিয়ে থাকতে পারে।

সূত্রঃ ভিওএ

এম.কে
১৩ নভেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

ফের ভারতকে আক্রমণ হোয়াইট হাউসের

ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করতে সম্মত ৩ ‘মোড়ল’

আইসিসি বিচারকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইইউর উদ্বেগ