নিউজ ডেস্ক: মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট গণনায় ‘জালিয়াতির’ যে অভিযোগ তুলেছেন তা নিয়ে নিজের দল রিপাবলিকান পার্টিতে স্পষ্টতই চরম মতভেদ দেখা দিয়েছে।
রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ কিছু নেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভিত্তিহীন অভিযোগের পক্ষে সাফাই গাইলেও দলের অনেক নেতা তা সমর্থন করছেন না।
রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের মধ্যে যখন এই মতভেদ দেখা দিয়েছে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দুই ছেলে দলের কিছু নেতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
বিবিসি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়াই করছেন, তখন তার দুই ছেলে রিপাবলিকান নেতাদের তীব্র আক্রমণ করে বলেন, তারা ট্রাম্পকে যথেষ্ট সমর্থন দেননি।
ট্রাম্পের বড় ছেলে ডন জুনিয়র বলেছেন, তার বাবার প্রতি রিপাবলিকান নেতাদের সমর্থন ছিল ‘দুর্বল’।
বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, সিনিয়র রিপাবলিকান মিট রমনি এবং মেরিল্যান্ড গভর্নর ল্যারি হগান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খাটো করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন।
রমনিকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, প্রতিটি ভোট গণনা করা গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
‘ভোট গণনা করা হবে। যদি কোনো অনিয়মের অভিযোগ থাকে তাহলে সেটির তদন্ত হবে এবং শেষ বিচারে আদালতে নিষ্পত্তি হবে। গণতন্ত্রের উপর আস্থা রাখুন, আমাদের সংবিধান এবং আমেরিকার জনগণের উপর আস্থা রাখুন,’ বলেন রমনি।
সিএনএন বলছে, টেক্সাসের রিপাবলিকান নেতা উইল হার্ড প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কার্যক্রমকে ‘বিপজ্জনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
হার্ডের টুইট বার্তাকে উদ্ধৃত করে সিএনএন লিখেছে, ‘প্রেসিডেন্ট আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে অবজ্ঞা করছেন এবং কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই আমেরিকানদের বৈধ মতামত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এটা শুধু বিপদজনক এবং ভুলই নয়, যে ভিত্তির উপর আমাদের জাতি দাঁড়িয়ে আছে সেটিকেও অবজ্ঞা করা হচ্ছে। ’
বিবিসি নিউজ বলছে, গত চার বছরের রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টিকে তাদের ইচ্ছেমতো চালিয়েছেন। তার নিজের মনোনীত রিপাবলিকানদের কাছ থেকে তিনি ৯০ শতাংশের বেশি সমর্থন পেয়েছেন।
রিপাবলিকান পার্টির ভেতরে এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং অন্যদের মধ্যে যে বিবাদ শুরু হয়েছে, ট্রাম্পের বিদায়ের পরে সেটি দলকে কোন দিকে নিয়ে যাবে তা এক বড় প্রশ্ন।
সূত্র: বিবিসি
৬ নভেম্বর ২০২০