14.8 C
London
October 23, 2024
TV3 BANGLA
বাকি বিশ্ব

তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত

ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই।

গত সোমবার তসলিমা নাসরিন তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রিয় অমিত শাহজি, নমস্কার। আমি ভারতে বসবাস করছি। কারণ আমি মহান এই দেশটাকে ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২২ জুলাইয়ের পর থেকে আমার বসবাসের অনুমতি আর বাড়াচ্ছে না। আমি এ নিয়ে খুব চিন্তিত। আপনি যদি আমাকে থাকতে দেন, আমি খুব কৃতজ্ঞ হবো। শুভকামনা রইল।’

তসলিমার এই পোস্টের পর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় এবং এ ব্যাপারে তসলিমাকে অবহিত করে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) অমিত শাহ ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন তসলিমা। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অসংখ্য, অজস্র ধন্যবাদ।’

তসলিমা নাসরিনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে। বহুল আলোচিত ‘লজ্জা’ উপন্যাসে কট্টর ইসলামপন্থার কঠোর সমালোচনা করার অভিযোগে ১৯৯৪ সালে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার। সেইসঙ্গে তাকে দেশ ছাড়তেও বাধ্য করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরবর্তী ১০ বছর সুইডেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন তসলিমা নাসরিন। এই সময়সীমার মধ্যে সুইডেনের নাগরিকত্বও নেন তিনি। ২০০৪ সালে কলকাতায় ফেরেন তিনি।

কিন্তু ২০০৭ সালে তাকে ভারত থেকে বিতাড়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে কলকাতার কট্টরপন্থি মুসলিমরা। পরিস্থিতি শান্ত করতে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যসরকার তসলিমাকে কলকাতা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। সে সময় কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে চলে যান তিনি এবং সেখানে কয়েক মাস থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে ৩ বছর অবস্থানের পর ২০১১ সালে ফের নয়াদিল্লি ফিরে আসেন তসলিমা। তারপর থেকে সেখানেই থাকছেন তিনি।

সূত্রঃ এএনআই

এম.কে
২৪ অক্টোবর ২০২৪

 

আরো পড়ুন

ইতালিতে স্পন্সর ভিসা জালিয়াতি, ধরপাকড়ে বাংলাদেশি আটক

ইইউ ও ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূতকে চীনের তলব

হাসিনার পতনের পর ৬০ শতাংশ বাজার হারিয়েছে কলকাতা