যুক্তরাজ্যের কিংস ক্রস স্টেশনে প্রদর্শিত রমজানের ইসলামিক বার্তা নামিয়ে দেয়া হয়েছে। যাত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তাটির ছবি শেয়ার করেছেন বলে খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
যে বার্তাটি জনসাধারণের মধ্যে অভিযোগ এবং প্রশংসার মিশ্রণ ঘটিয়েছে বলে স্যোশাল মিডিয়ার বার্তাটির বিভিন্ন মন্তব্য হতে অনুধাবন করা যায় বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন হতে উঠে আসে।
আগা নোভাক নামে একজন মন্তব্য করেন, আমি তখনও প্রতিবাদ করব, যখন দেখব মেরি ক্রিসমাস মেসেজ! কারণ রমজানের ইসলামের বার্তা নামিয়ে দিলে কোনো ধর্মের বার্তা দেয়াই উচিত নয়।
ভজটেক টেফনি নামের একজন লিখেন, যুক্তরাজ্য সরকার আনন্দের সাথে বাইবেলের আয়াতগুলোকে কোনো সমস্যা ছাড়াই প্রচার করে। কিন্তু লোকেরা যখন কোরআনের আয়াত দেখানোর চেষ্টা করে, তখন তারা তা নামিয়ে দেয়। এটা পরিষ্কার ভণ্ডামি।
বিভিন্ন লোক মন্তব্য করতে গিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় গাজা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা উঠান। যুক্তরাজ্য সরকারের গাজা নিয়ে ভুমিকার কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে হয়ে আছেন। কিছুদিন পূর্বেই কনজারভেটিভ সরকারের উপর অভিযোগ উঠেছিল ইলেকশনের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তারা চায় না এখনই গাজা যুদ্ধ বন্ধ হোক।
ফাজ্জদিন গাজা প্রসঙ্গ টেনে এনে স্যোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, এখানে গাজা থেকে নিহত শিশুদের ছবি প্রতিস্থাপন করুন। এটা আপত্তিকর নাও হতে পারে।
নুহা পাবোনি নামের একজন নিজের মতামত জানাতে গিয়ে লিখেন, যুক্তরাজ্যের মুসলিম জনসংখ্যা সম্পর্কে সুনাকের কোন ধারণা-ই নেই। বিশেষ করে লন্ডন শহরে। কিন্তু সুনাক মোদির মুসলিম বিরোধী এজেন্ডা যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠা করছেন। আমাকে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাই না।
সূত্রঃ মিডল ইস্ট মনিটর
এম.কে
২২ মার্চ ২০২৪