24.6 C
London
September 19, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

নিজ দেশে ফিরে গেলে অভিবাসীদের ৩৪ হাজার ডলার দেবে সুইডেন

যেসব অভিবাসী স্বেচ্ছায় সুইডেন ছেড়ে যাবে, তাদের ৩৪ হাজার ডলার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ডানপন্থি সরকার।

কয়েক দশক ধরে অনেক অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়ে ‘মানবিক পরাশক্তি’ হিসেবে পরিচয় পেয়েছে সুইডেন। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে নতুন আসা অভিবাসীদের নিজেদের সঙ্গে একীভূত করে নিতে হিমশিম খেয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটি।

বৃহস্পতিবার সুইডেন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, কোনো অভিবাসী নিজ দেশে ফিরে গেলে প্রণোদনা হিসেবে মাথাপিছু ৩৪ হাজার ডলার বা সাড়ে ৩ লাখ ক্রোনা করে দেওয়া হবে। আগে দেওয়া হতো মাথাপিছু ১০ হাজার ক্রোনা। পাশাপাশি এ অর্থ পাওয়ার আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কমানো হবে।

বর্তমানে একটি পরিবার সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ক্রোনা বা ৩ হাজার ৭১৭ ডলার পায়। নতুন ঘোষণায় অনুদানে এরকম সীমা থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি।

২০২৬ সাল থেকে নতুন ঘোষণাটি কার্যকর হবে।

সংঘাত ও যুদ্ধপীড়িত আশ্রয়প্রার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য বিখ্যাত সুইডেনের নীতিতে বড় পরিবর্তনের অংশ এই উদ্যোগ।

ইউরোপে ডানপন্থি ও জনতুষ্টিবাদী দলগুলোর উত্থানের মধ্যে অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দেশের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

সুইডেনের জোট সরকারের সঙ্গী সুইডেন ডেমোক্র্যাট। ২০২২ সালের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থি এ দল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন জেতে। ১৯৮০-র দশকে নব্য-নাৎসি আন্দোলন শুরু দলটি, তবে পরে পরিচয় পাল্টে রক্ষণশীল দল হয়। এ দলের মূল এজেন্ডা অভিবাসন।

সুইডেনের জনসংখ্যা ১০.৬ মিলিয়ন। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার।

গত বছর মাত্র ৭০ জন মানুষ দেশটিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে। আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে মাত্র একটি।

অন্যদিকে গত বছর প্রণোদনার অর্থ না নিয়েই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার ১৬ হাজার অভিবাসী সুইডেন ছেড়েছে।

গত বছর সুইডিশ সরকার নতুন অভিবাসন নীতি প্রণয়ন করে। এ নীতির আওতায় বসবাসের অনুমতির (রেসিডেন্স পারমিট) জন্য আবেদন আরও কঠিন করে তোলার পাশাপাশি অভিবাসীদের প্রত্যর্পণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ উদ্যোগের সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থা সিভিল রাইটস ডিফেন্ডারস-এর আইন উপদেষ্টা মার্তিন নিমান বলেন, সুইডেনের কঠোর অভিবাসন ও আশ্রয় নীতি অভিবাসীদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। এ নীতির ফলে অভিবাসীদের জন্য আনুষ্ঠানিক খাতে কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘বাইরের মানুষ সুইডেনে আসবে না—এই হলো এ সরকারের বার্তা।’

প্রণোদনা বাড়ানোর পরও অভিবাসীদের সুইডেন ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়েও সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।

সুইডেনের শরণার্থীদের বড় একটা অংশ সিরিয়া, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানান বাল্টিক ও নর্ডিক দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আন্নিকা স্যান্ডলান্ড। ‘১০ হাজার সুইডিশ ক্রোনা দিন, আর সাড়ে ৩ লাখ ক্রোনাই দিন, মাঠের বাস্তবতা বদলাবে না।’

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ইতিহাসে নিয়োগ পেলেন প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি

নিউইয়র্কে রাস্তায় ঘুমাচ্ছেন অভিবাসীরা

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার নিউটন ১৫ বছরের কিশোর হাসসাম আল-আত্তা