গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনে ড. কামাল হোসেনকেও গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।
তিনি বলেন, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হবে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে চূড়ান্তভাবে প্রয়োজনে তাকেও গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত চৌধুরী বলেন, আগামী সম্মেলনে যদি কামাল হোসেন আসেন তবে তাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা গণফোরামকে সামনের দিকে অগ্রসর করবো। তবে উনি (ড. কামাল) যদি ড. রেজা কিবরিয়া এবং ওনার আশীর্বাদপুষ্ট যে দুষ্টচক্রটি গণতন্ত্রহীন ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাদের পক্ষ নেন, তাহলে সম্মেলনের আগেও আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
নাম উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্রবিরোধী যত কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা ওনার (ড. কামাল হোসেন) সম্মতিক্রমেই হচ্ছে। তিনি সভাপতি হোন বা সদস্যই হোন, গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা গঠনতন্ত্রেই উল্লেখ রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে বহিষ্কার করা যায়। এর আগে তাকে শোকজ করতে হয়। আমরা ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবো না, প্রয়োজন হলে এর আগেও যারা গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজে লিপ্ত তাদের শোকজ করা হবে। ড. কামাল হোসেনের ব্যাপারেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না।
ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি যেহেতু এখনো ড. রেজা কিবরিয়ার যোগসাজশে গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন তাই আমাদের সিদ্ধান্ত আগেও হতে পারে। আমরা দেখবো আগামীকাল থেকে উনি কী ভূমিকা নেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ প্রমুখ।
সূত্র: বাংলানিউজ
২১ অক্টোবর ২০২০
এনএইচ /এসএফ