যুক্তরাজ্যে এবার মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ প্রিয়জনদের ছাড়াই ক্রিসমাস দিবস কাটাচ্ছে। কারণ করোনা ভাইরাদের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে অনেক স্থানে। সীমাবদ্ধতার সাথে প্রিয়জনদের সাথে দেখা করতে পারছে এমন লোকের সংখ্যাও সীমিত।
সবাই আশা করেছিলেন, ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন করোনা ভাইরাসের নিয়মে শিথিলতা দেয়া হবে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের নতুন রূপের সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিয়ম আরো কঠোর করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ‘টিয়ার ৪’ অঞ্চলে যারা আছেন তাদের নিজের বাড়ির বাইরের লোকদের সাথে দেখা করার অনুমতি নেই। ‘টিয়ার ১’ থেকে ‘টিয়ার ৩’ অঞ্চলের ভিতর যারা আছেন তারা কেবল ক্রিসমাসের দিনে তিনটি পরিবারের সাথে একত্রিত হতে পারবেন।
‘বক্সিং ডে’ বা ক্রিসমাসের পরের কর্ম দিবস থেকে আরও ৬ মিলিয়ন মানুষ ‘টিয়ার ৪’ এ প্রবেশ করতে যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ২৪ মিলিয়ন মানুষ (যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ) এই কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে। স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড ইতিমধ্যে বক্সিং ডে থেকে নতুন লকডাউন ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রি বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটের ক্রিসমাস বার্তায় বলেন, আমি এবারের মতন ক্রিসমাস আগে কখনোই দেখিনি। পরিবারের সবাই ক্রিসমাস একসাথে বেশ কয়েক দিন ধরে পালন করে। সবার মাঝে উপহার আদান-প্রদান, একত্রে খাবার খাওয়া, বাজি, মিসলটোর নিচে একত্র হওয়া সহ আরো কতো কিছু করি আমরা ক্রিসমাসে। কিন্তু এবার এসব কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে আমাদের।
তিনি আরো বলেন, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য ধারন করার জন্য। এই বছরটাই এমন যে আমরা ক্রিসমাস পালনের জন্য আমাদের প্রিয়জনদের বিপদে ফেলতে পারি না। আমাদের হাতে একটি ভ্যাকসিন রয়েছে এবং আমরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অবশ্যই সফলতা অর্জন করবো। আমরা আমাদের ত্যাগের জন্য অবশ্যই উপহার পাবো। পরের বছর ক্রিসমাসে আমাদের প্রিয়জনদের হাসি মুখ দেখতে পারাটাই হবে আমাদের সবথেকে বড় উপহার।
তিনি বলেন, এবারের ক্রিসমাস আমরা উজ্জাপন করবো উপহার, টার্কি অথবা ব্র্যান্ডি বাটার দিয়ে নয় বরং করোনার ভ্যাকসিন তৈরির উপলক্ষে। প্রায় ৬ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: স্কাই নিউজ
২৫ ডিসেম্বর ২০২০
এসএফ