যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পেতে চান। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) স্ট্যানলি জনসন জানান, ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তিনি ফ্রান্সের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে (ব্রেক্সিট) এসেছে। স্ট্যানলি জনসন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য। তিনি ২০১৬ সালে গণভোটে যুক্তরাজ্যের ইইউ জোটে থাকার পক্ষে মত দেন।
ফ্রান্সের আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৮০ বছর বয়সী স্ট্যানলি বলেন, তিনি ফ্রান্সের নাগরিক হতে চান। কারণ, ফ্রান্সের সঙ্গে তার পরিবারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
স্ট্যানলি বলেন, আমি যদি ঠিকঠাকভাবে সব বুঝে থাকি, তবে আমি ফ্রান্সের নাগরিক। আমার মা ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার নানি পুরোপুরি ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন। তার (নানি) দাদাও ছিলেন ফ্রান্সের। তাই আমার যা আছে, তারই দাবি করছি। আর এতে আমি সুখী।
স্ট্যানলি আরও বলেন, আমি সব সময় ইউরোপীয় থাকব। এটি নিশ্চিত। কেউ আমাকে বলতে পারবে না, তুমি ব্রিটিশ, ইউরোপীয় নও। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্যানলির ছেলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশ্য ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটপন্থী হিসেবে অধিক পরিচিত হয়ে ওঠেন। তার ভাষ্য ছিল, মাত্রাতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে পুরো স্বাধীন দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য আরও শক্তিশালী সমৃদ্ধির পথে হাঁটতে পারে।
অবশ্য ইইউর সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস সমঝোতার বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশ হিসেবে ব্রিটেনের এটাই শেষ নয়। আমরা ইউরোপীয় সভ্যতার অংশ…আমরা তা হয়েই থাকব।
প্রায় ৪৮ বছর ধরে একসঙ্গে চলার পর বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাজ্য।
সূত্র: রয়টার্স ও এএফপি
২ জানুয়ারি ২০২১