7.1 C
London
December 24, 2024
TV3 BANGLA
ইউরোপশীর্ষ খবর

বসনিয়ার জঙ্গলে মৃত্যুর মুখে দিন কাটাচ্ছে বহু বাংলাদেশি

বিপজ্জনক আবহওয়ায় বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গলে কয়েক মাস ধরে অবরুদ্ধ হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী। বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ মধ্যেপ্রাচ্য থেকে আসা কয়েক দেশের নাগরিক রয়েছেন। উন্নত জীবনের খোঁজে যারা অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের স্বপ্ন বুনছিলেন তাদের এক বেলা খাবারই জোটছে না। অনেকটা রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে পড়ে গেছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

 

এদিকে বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিসহ মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ এবং এর মানবিক সংস্থাগুলো। অভিবাসন প্রত্যাশীরা মারাত্মক জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সতর্ক করে অবিলম্বে সঙ্কট সমাধানে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সময় সংবাদে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, বিভিন্ন সঙ্কটের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে অভিবাসন প্রত্যাসীরা। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা- আইএমও জানিয়েছে, কনকনে ঠান্ডার মধ্যে বসনিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আটকে পড়ারা যে কোনো সময়েই মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। এদিকে বসনিয়ার সীমান্তবর্তী জঙ্গলে আটকে পড়াদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থাও নাজুক।

 

সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রাথমিক অবস্থায় স্থায়ীভাবে না হলেও অস্থায়ীভাবে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পুনর্বাসনের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।

 

ভয়েস অব আমেরিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বসনিয়া সরকারও আটকে পড়া এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না। এখানে প্রচণ্ড তুষারপাত হচ্ছে। তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত কমছে। শীত নিবারণের জন্য কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেই। এক টুইটবার্তায় এমনটাই বলছিলেন বসনিয়ার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রধান পিটার ভন দুর অরায়ের্ট।  তিনি আরও যোগ করেন, জীবনযুদ্ধে এভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবন বাঁচাতে সাহসী রাজনৈতিক পদক্ষেপ জরুরি।

 

পশ্চিম ইউরোপে পৌঁছানোর প্রত্যাশায় হাজারো অভিবাসীর পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বসনিয়া। বেশির ভাগ বসনিয়ার উত্তর-পশ্চিম ক্রাজিনা অঞ্চলে আটকে আছেন। কারণ জাতিগতভাবে বিভক্ত জাতিটির অন্যান্য অঞ্চল অভিবাসীদের দায়িত্ব নিতে চাইছে না।

 

ঠাণ্ডায় অভিবাসীদের মানবেতর অবস্থা হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বসনিয়াকে সতর্ক করেছে আগেই। রাজনীতিবিদদের একটি ঐকমত্যে আসারও আহ্বান জানানো হয়। তবে তারা কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি এখনো।

 

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়া গত কয়েক বছর ধরে বিপজ্জনক হয়ে উঠায় এখন স্থলপথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। দালাদের খপ্পরে পড়ে অনেকে সীমান্ত হয়ে ইউরোপ ঢোকার চেষ্টা চালান। এর মধ্যে বসনিয়া হয়ে ক্রোয়েশিয়ার প্রবেশের অন্যতম একটি পথ। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া সরকার সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারির আওতায় আনায় ইউরোপে প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্তরক্ষীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে পড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

 

২৯ ডিসেম্বর ২০২০
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

ফিলিস্তিনিরা ‘গণহত্যার’ শিকার উল্লেখ করে জাতিসংঘ কর্মকর্তার পদত্যাগ

১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা অ্যামাজনের

কৌশলে অগ্নিনিরাপত্তা এড়াচ্ছেন লন্ডনের বিল্ডাররা

অনলাইন ডেস্ক