নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন বিনিয়োগকারী ও সাবেক স্ন্যাপচ্যাট প্রধান কৌশল কর্মকর্তা (CSO) ইমরান খান। এ সময় তিনি নিজ দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইমরান খান বলেন, “আমি আপনার কাজের ভীষণ প্রশংসক। আপনি আমাদের জাতীয় গর্ব।” তিনি জানান, প্রফেসর ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচনে আজীবন সংগ্রাম তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে এবং এখনই বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়।
প্রফেসর ইউনূস তাকে বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। জবাবে ইমরান খান এসব খাতের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আশ্বাস দেন।
সাক্ষাতে ইমরান খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তার মতে, বর্তমানে অনুকূল নীতিগত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। “বাংলাদেশ একটি ফ্রন্টিয়ার মার্কেট, যেখানে ফিনটেক এখনো তুলনামূলক অনাবিষ্কৃত ক্ষেত্র। বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী থাকায় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিশাল,” যোগ করেন তিনি।
ইমরান খান আলেফ হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান এবং ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান প্রোইম অ্যাসেটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। তার বিনিয়োগ মূলত প্রযুক্তি-চালিত পরিবর্তনশীল খাত, বিশেষ করে ফিনটেক, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং পেমেন্টস খাতে কেন্দ্রীভূত।
প্রফেসর ইউনূস বৈঠকে প্রস্তাব দেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিনিয়োগকারীরা যেন তাদের বিনিয়োগের অন্তত এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসায় ব্যয় করেন বা সামাজিক ব্যবসা তহবিলে অংশগ্রহণ করেন। ইমরান খান এই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং ভবিষ্যতে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ইমরান খান এর আগে জেপি মর্গান ও ক্রেডিট সুইসের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আলিবাবার ইতিহাস সৃষ্টি করা আইপিওতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং স্ন্যাপচ্যাটকে শূন্য থেকে কয়েক মাসে ৭২৮ মিলিয়ন ডলারের মূল্যে উন্নীত করতে নেতৃত্ব দেন।
সাক্ষাতে এসডিজি কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন
এম.কে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫