পারকিনসন্স রোগ নির্ণয়ের আগেই স্বামীর দেহে বিচিত্র এক গন্ধ আবিষ্কার করেছিলেন এক নারী। এবার রোগটি সনাক্তের জন্য টেস্ট উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করলেন তিনি।
৭২ বছর বয়সী ওই নারীর নাম জয় মিলনে। তার স্বামী লেসের যখন ৩২ বছর বয়স তখন এই গন্ধটি পাওয়া শুরু করেন।
এক সাক্ষাতকারে জয় মিলনে বলেন, আমি স্বামীকে বলতাম তুমি ঠিক মতো শাওয়ার নিচ্ছো না। একথায় সে রেগে যেতো।
কিন্তু গন্ধটি পুরোপুরি চলে যেত না। এরপর এই গন্ধ নিয়েই বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এদিকে গন্ধটি দিনদিন আরও প্রকট হয়ে উঠতে থাকলে বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। ক্লান্তি এবং বেদনার ছাপ ফুটে উঠতে থাকে লেসের মধ্যে। স্বামীর হয়তো ব্রেইন টিউমার হয়েছে, ভেবেছিলেন জয়। অবশেষে ৪৪ বছর বয়সে লেসের পারকিনসন্স ধরা পরে।
জয় বলেন, তিনি এরইমধ্যে জানতেন যে, তার মধ্যে এমন জিনিসের গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা আছে যা অন্যদের মধ্যে নেই। তার দাদির মধ্যে এই ক্ষমতা ছিল। একই ক্ষমতা আছে তার দুই বোনের। এটা বংশগত হয়ে থাকতে পারে।
তার স্বামীর রোগ নির্ণয় নিশ্চিত হয়ে গেলে, এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর টিলো কুনাথের কাছে গন্ধের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন মিসেস মিলনে।
এরপর বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এর সাহায্যে এখন একটি সোয়াব টেস্ট উদ্ভাবন করেছেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এতে পারকিনসন্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘাড়ের পিছনে একটি সাধারণ তুলার গুচ্ছ ব্যবহার করে রোগ সনাক্ত করা হয়।
মিসেস মিলনে আশা করেন যে রোগটি এখন শীঘ্রই সনাক্ত করা যাবে। বর্তমানে এই টেস্টের মাধ্যমে ৫০%-এর বেশি নিউরাল ড্যামেজ সনাক্ত করতে সক্ষম। দ্রুত রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে নিউরাল ড্যামেজ প্রতিরোধে এটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
সূত্র: স্কাই নিউজ