ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীদের নির্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন একজন লেবার নেতা। পাশাপাশি অভিবাসন ব্যবস্থায় টোরি সরকারের ১২ বছরের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন তিনি।
শ্যাডো চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস বলেছেন, “যারা থাকার অধিকার পায়নি” তাদের লক্ষ্য করে সরকারের একটি ব্যাকলগ অপসারণের চেষ্টা করা দরকার।
স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্রাভারম্যান মঙ্গলবার বলেছেন যে তিনি বেআইনিভাবে যুক্তরাজ্যে আসা ব্যক্তিদের জন্য আশ্রয়ের আবেদন নিষিদ্ধ করবেন। এটি জাতিসংঘের শরণার্থী চুক্তির লঙ্ঘন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দাতব্য সংস্থা জয়েন্ট কাউন্সিল ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব ইমিগ্র্যান্টস (জেসিডব্লিউআই) দ্বারা “লজ্জাজনক, নিষ্ঠুর এবং বিবেকহীন” বলে চিহ্নিত হওয়া রুয়ান্ডা নির্বাসন প্রকল্পের সফলতা দেখতে চান নতুন হোম সেক্রেটারি।
আশ্রয়ের দাবি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে স্কাই নিউজকে রিভস বলেছেন:
“সমস্যা হল ক্লেইম ব্যর্থ হওয়ার পরও সরকার মানুষকে নির্বাসন দিচ্ছে না। সরকারের যা করা দরকার তা হলো সিস্টেমের আঁকড়ে ধরা, দ্রুত দাবি নিষ্পত্তি করা এবং যারা এখানে থাকার অধিকার পায়নি তাদের বাড়িতে পাঠানো নিশ্চিত করা।”
“এটি কেবল আজকের কথা নয়, গত ১২ বছর ধরে টরি সরকার এই কাজে ব্যর্থ,” তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, “রক্ষণশীলরা ১২ বছর ধরে সরকারে রয়েছে এবং এই সময়ে অবৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বলা যায় এই সমস্যাটি তাদের নজরদারিতে তৈরি হয়েছে”।
২০২২ সালে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজারেরক বেশি লোক ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হয়ে এসেছেন বলে রিপোর্ট করা হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ২৮,৫২৬। হোম অফিস ধারণা করছে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়াদের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৬০ হাজার ছাড়াবে এ বছর।
বলা হচ্ছে, ব্র্যাভারম্যানের নীতিগুলো সাবেক হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেলের চালু করা নীতিগুলোর থেকেও কঠিন হবে। অভিবাসন যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে, কিন্তু নিয়মের এই অপব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেবেন ব্র্যাভারম্যান।
৫ অক্টোবর ২০২২
এনএইচ