ব্রিটিশ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া অভিবাসীরা আশাবাদী, তাদের ভোট পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বলে অভিবাসীদের বিশ্বাস। ৪ জুলাইয়ের ভোটে অংশগ্রহণের জন্য তাই উৎসাহী এসব অভিবাসীরা।
এবারের নির্বাচনে বিরোধী দল লেবার পার্টি ভূমিধস জয় পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ দলের শাসনের অবসান হতে পারে।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো মূলত–নাইজেরিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়ার মতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাবেক ভূখণ্ডের– শরণার্থী ও অভিবাসীরা ভোটদানে যোগ্য।
২৭ বছর বয়সী এক অভিবাসী গত বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে এসেছেন। তিনি তার নিজ দেশ ভারতের নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় হতাশ ছিলেন। কিন্তু এবার ভোট দিতে পারার সুযোগ পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। তার কথায়, আমার দেশে, অন্য দেশের মানুষদের ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই। আমি এখানে স্টুডেন্ট ভিসায় এসেছি, কিন্তু তারা আমাদের ব্রিটিশ নাগরিকদের মতো ভোটদানের সুযোগ দিচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডে ম্যানচেস্টারে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট-টাইম অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন এই অভিবাসী।
সালফোর্ডের ৩৩ বছর বয়সী মালয়েশীয় ছাত্র তেহওয়েন সান ম্যানচেস্টারের কাছাকাছি বসবাস করছেন। তিনি বলেন, দুই প্রধান দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য দেখেন না তিনি, তবে অভিবাসীদের প্রতি যে দল বেশি গ্রহণযোগ্য সেই দলকে ভোট দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাজ্যে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি ইস্যু। কনজারভেটিভরা জিতলে সুনাক নেট অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ অনেক ব্রিটিশ ভোটার মনে করছেন এটি অত্যধিক এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন, এবং শিক্ষার উপর চাপ সৃষ্টি করছে। সুনাক ভিসা নিয়ম কঠোর করেছেন এবং আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর একটি নীতির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছেন।
ম্যানচেস্টারের ৩১ বছর বয়সী সাপোর্ট কর্মী ওয়িংকানসোলা ডিরিসু ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে এসেছেন। তিনি লেবার পার্টির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ। তিনি চান যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তাদের মতো মানুষের যুক্তরাজ্যে স্থানান্তর যেন সহজ করে।
নাইজেরিয়া থেকে গত সেপ্টেম্বর আসা ২৬ বছর বয়সী এসথার অফেম এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। তার কথায়, কোনও দলই আমার আগ্রহের জায়গাগুলোতে তেমন কিছু করেনি। যুক্তরাজ্যের নির্বাচন নিয়ে তাই আগ্রহ কম আমার যদিও বর্তমান সরকারের অবস্থান হাস্যকর।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০৩ জুলাই ২০২৪