আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক হচ্ছে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের। এর মধ্যদিয়ে মা দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরসূরী হিসেবে ব্রিটিশ সিংহাসনে বসছেন তিনি।
রাজ্যাভিষেকের আগে রাজা তৃতীয় চার্লসকে চিঠি লিখেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটেনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দি রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। তাই তিনি অভিষেকের পর ওই কারাগার পরিদর্শনে রাজাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চিঠিতে।
চিঠিটি লন্ডনের বেলমার্শ কারাগার থেকে অ্যাসাঞ্জের লেখা ও প্রকাশিত প্রথম কোনও নথি। সেখানে তার জীবনের ভয়াবহ কিছু অংশের বর্ণনা রয়েছে।
রাজ্যাভিষেকের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষকে কারাগারে আমন্ত্রণের কারণ উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ জানান, বন্দীদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করা হয় তা থেকে একটি সমাজকে পরিমাপ করা যায়।
এখানে আপনার অনুগত প্রজাদের মধ্যে ৬৮৭ জনকে রাখা হয়েছে’, যা পশ্চিম ইউরোপের বৃহত্তম কয়েদির কারাগার হিসেবে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড।
আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ এবং সেইসঙ্গে কয়েক হাজার কূটনৈতিক নথি ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়ছেন তিনি।
চিঠিতে যুক্তরাজ্যে কারাগার সম্প্রসারণে সরকারি প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিদ্রূপ করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
প্রতিদিন দুই পাউন্ডের বাজেটের খাবারের প্রতি ব্যঙ্গাত্মক ইঙ্গিতও করেন তিনি। রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে ‘বিশ্বমানের এই কারাগারে’ থাকতে পেরে ‘সম্মানিত’ বলেও লিখেছেন তিনি।
রাজাকে বেলমার্শের স্বাস্থ্যসেবা ও ব্যবস্থাপনা দেখার আমন্ত্রণ জানান জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যেখানে কয়েদিদের আর্তনাদ শোনা যায়, ‘ভাই, আমি এখানেই মরতে যাচ্ছি’।
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা লেখেন, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, বেলমার্শ কারাগার পরিদর্শন করুন।
এটি একজন রাজার জন্য সম্মানজনক।
সব সময় কিং জেমস বাইবেলের ‘ধন্য যারা দয়াশীল, কারণ তারা দয়া পাবে’ রাজাকে লাইনগুলো স্মরণের অনুরোধও জানান অ্যাসাঞ্জ।