ইনকাম ডকুমেন্ট বলতে পে-স্লিপ, চেক, ইমপ্লয়মেন্ট লেটার, ট্যাক্স ইয়ার ওভার ভিউ এইসব বোঝায়।
মর্গেজ নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো মূল বেতন এবং বোনাস ও ওভারটাইম আলাদাভাবে হিসেব করে। মূল বেতন বা বেসিক স্যালারি হচ্ছে গ্যারান্টেড ইনকাম। আর ওভারটাইম হিসেব করার ক্ষেত্রে সর্বশেষ তিনমাসের পে-স্লিপ এবং সর্বশেষ চেকের ইনকাম গুরুত্তপূর্ণ।
আপনি যদি গ্যারান্টেড বোনাস পান তাহলে আপনার ইমপ্লয়মেন্ট লেটার এর প্রয়োজন হতে পারে। আর বোনাস যদি পারফরমেন্স ভিত্তিক হয়, সেক্ষেত্রে বিগত দুইবছরের সব কয়টি বোনাসের পে-স্লিপ সাথে রাখতে হবে।
আপনার যদি সেকেন্ড চাকরি থাকে, তাহলে অনেক ব্যাংক সেকেন্ড চাকরির ৬ মাসের পে-স্লিপ দেখতে চাবে।
‘জিরো’ আওয়ার চাকরিতে আপনাকে প্রতি সপ্তাহে কাজ দিতে বাধ্য না। তাই এই চাকরিতে ইনকামের গ্যারান্টি নেই। আপনার চাকরির কন্ট্রাক্ট ’জিরো’ আওয়ার ভিত্তিক হলে নূন্যতম এক বছরের পে-স্লিপ লাগবে। অনেক ব্যাংক আবার দুই বছরের পে-স্লিপ চাইতে পারে।
আপনি সেলফ ইমপ্লয়েড হলে নূন্যতম দুই বছরের ট্যাক্স রিটার্ন এর কাগজ লাগবে। অবশ্য আপনার সেলফ ইমপ্লইয়েডের মেয়াদ যদি দুই বছর না হয় তাহলে এক বছরের ট্যাক্স রিটার্নের উপর ভিত্তি করে মর্গেজ এপ্লাই করতে পারবেন।
আপনার চাইল্ড বেনিফিট ইনকাম থাকলে এই ইনকাম মর্গেজ নেয়ার সময় উল্লেখ করতে পারেন। প্রমাণের জন্য চাইল্ড বেনিফিটের কাগজ অথবা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের কাগজ সংগ্রহে রাখুন। অন্যান্য বেনিফিট ইনকামের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
মর্গেজ অ্যাপ্লিকেশন করার আগে আপনার চাকরি দাতাকে অ্যাপ্লিকেশন করার কথা জানিয়ে রাখুন। তাহলে ব্যাংক থেকে যদি কোন ইনকোয়েরি আসে তাহলে তিনি সঠিকভাবে ইনকোয়েরির জবাব দিতে পারবেন।
২০ নভেম্বর ২০২০
এসএফ