ব্রেক্সিটের প্রভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বর্ধিত খরচ ও সীমান্ত সংকটের কারণে কমে আসছে বাণিজ্য। দেশটির পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ জন্য ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়াকে দায়ি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আর্থিক নজরদারির বিশেষ সংস্থা, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি জানায়, ইইউ ছাড়ার ফলে ব্যপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশটির ব্যবসা বাণিজ্যে।
ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে বানিজ্য বিধি বাস্তবায়নে ব্রাসেলসকে বাইপাস করে যাওয়ায় যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে কঠোর আচরণ করার দিকে এগুচ্ছে ইইউ।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে যুক্তরাজ্যে আসা পণ্যগুলির জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করায় ইউরোপীয় কমিশন অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে।
ইউরোপীয় কমিশন ইউনিয়নের ব্লকের দেশগুলিকে যুক্তরাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতে পরামর্শ দেয়। তাছাড়া কি ধরনের সমস্যার মুখে ব্লকের দেশগুলো যুক্তরাজ্যে বানিজ্য বা মালামাল প্রবেশের সময় পড়ছে সেটা চিহ্নিত করার জন্য সবাইকে তথ্য প্রদানের অনুরোধ জানায়।
এই সমস্যা আবির্ভূত হওয়ায় ঋষি সুনাকের সরকার ইইউ এবং ব্রিটিশ ব্যবসায়ী উভয়ের পক্ষ থেকে চাপের মধ্যে পড়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। ঠিক কীভাবে আমদানি রপ্তানি বানিজ্য কার্যকর হবে, আমদানিতে সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণগুলি কীভাবে কার্যকর হবে সেই বিষয়ে উভয়পক্ষ প্রধানমন্ত্রীকে চাপে রেখেছেন বলেও জানা যায়।
২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইইউ ট্রেড কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী প্রাক্তন ব্যবসায়িক সচিব পিটার ম্যান্ডেলসন বলেন, ব্রাসেলসকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা সর্বদা সম্পর্ককে তিক্ততার দিকে নিয়ে যাবে। ব্রিটিশ সরকারের কমিশনের সাথে সুসম্পর্ক ও বিশ্বাস দ্বিগুণ হওয়া উচিত। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার জন্য ব্রিটেনের মরিয়া হওয়া দরকার। ”
একজন খাদ্য শিল্প বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই বছরের শেষের দিকে বড় বাঁধা এড়াতে ইইউ-ব্রিটেন একসাথে কাজ করা উচিত। এমন সময়ে যুক্তরাজ্য এবং ইইউর মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্ক ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।
ইউরোপের সাথে সরাসরি ব্যবসা করতে না পারায় যুক্তরাজ্যে হুহু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। ব্রিটিশ নাগরিকদের চাকরির সুযোগ কমে যাওয়ায় কমছে কর্মসংস্থানও। এ সব জটিলতার জন্য ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায়কে দায়ি করছে সংশ্লিষ্টরা।
এম.কে
০১ আগস্ট ২০২৩