ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রি বরিস জনসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন সোমবারে (১৪ ডিসেম্বর) টেলিফোনে কথা বলেছেন। উভয় পক্ষই আবারো আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। কিছু ইতিবাচক সুর লক্ষ্য করা গেছে তাদের ভিতর। উভয় পক্ষের মধ্যে বড় ব্যবধান কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদ দেখা গেছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আরো লম্বা সময় ধরে আলোচনা করার জন্য তারা বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রি বরিস জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি না হলে যুক্তরাজ্যকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মে বাণিজ্য করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তিনি বলেন, আলোচনার বিষয়গুলো যেখানে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমরা এখনও কিছু বিষয়ে সমঝোতার অনেক দূরে রয়েছি। তবে যেখানে জীবন আছে, সেখানে আশা আছে। আমরা কি করতে পারি তা দেখার জন্য কথা বলে যাচ্ছি। যুক্তরাজ্য অবশ্যই আলোচনা থেকে সরে আসবে না।
ব্রিটেনের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে নাগরিকরা বেশ উদ্বিগ্ন ও আতংকিত। বাণিজ্য চুক্তি ছাড়া ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হলে কী হবে তা নিয়ে রাজনীতির বাইরে ব্যবসায়ীদের মাঝেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গত ১১ মাসে যে চুক্তি সম্ভব হয়নি, তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তা সম্ভব কিনা এ নিয়ে আতংকিত সবাই।
ইইউ এর এক যোগাযোগ মাধ্যম জানিয়েছেন, তারা কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন কারণ ‘নো-ডিল’ বা চুক্তি না হওয়া অনেক বড় বিষয়। দেশের নাগরিকদের এবং তাদের জীবিকার উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে এটি। যতক্ষণ সময় আছে তা কাজে না লাগানো দায়িত্বহীন হবে।
উভয় পক্ষ রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে খুঁজছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সূত্র: বিবিসি
১৪ ডিসেম্বর