ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রাজনৈতিক বিবৃতি ভালোভাবে নিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার। বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি তাকে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মুখপাত্র তৌফিক হাসান।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিকবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারত সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাদের এটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক বিবৃতি বা বক্তব্য দিচ্ছে; সেটি আমাদের বাংলাদেশ সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারের তীব্র অসন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিবৃতি প্রদান থেকে বিরত রাখতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে এটি বলা হয়েছে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এটির জন্য আসলে এ ধরনের বক্তব্য থেকে তাকে বিরত রাখাটা খুবই জরুরি।
তৌফিক হাসান বলেন, আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছি। তিনি বলেছেন, এটা তার সরকারের কাছে বলবেন। আমরা আসলে অফিশিয়ালি কোনো রেসপন্স (সাড়া) পাইনি। তারা বিষয়টি দেখবেন—এ রকম জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনাকে ফেরানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ জানতে চাইলে তিনি জানান, এই বিষয়টা আসলে একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। যদি মিনিস্ট্রি বা অফিস থেকে আমাদের জানানো হয়, তাহলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব। তবে আমাদের অফিশিয়ালি জানানো হয়নি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভারতে কতজন বাংলাদেশি পালিয়ে গেছেন সরকার তাদের সংখ্যা জানে কি না—এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, সত্যিকার অর্থে এ ধরনের কোনো পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
এম.কে
১৫ নভেম্বর ২০২৪