4 C
London
January 22, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশশীর্ষ খবর

মানবপাচারের দায়ে বাংলাদেশির ১০ বছরের জেল

ব্রিটেনে লরি দিয়ে মানবপাচারের সংঘবদ্ধ চক্র পরিচালনার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এভাবে তিনি মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ গড়েছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় গত সপ্তাহে লন্ডনের উডফোর্ড গ্রিনের বাসিন্দা হোসেনকে সাড়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে ব্রিটেনের স্নেয়ারর্সব্রুক ক্রাউন কোর্ট। হোসেনের সহযোগী নুর উল্লাহকেও আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মানব পাচারের টাকায় বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত মোহাম্মদ হোসেনের ছিল বিলাসবহুল ব্যক্তিগত গাড়ির বহর। ব্রিটেনের ন্যাশন্যাল ক্রাইম এজেন্সির তদন্তে উঠে আসে, তার সন্তান বছরে ১২ হাজার পাউন্ড বেতনে ব্রিটেনের স্বনামখ্যাত প্রাইভেট স্কুলে পড়াশোনা করে। পূর্ব লন্ডনে একটি ক্যাফে ব্যবসার আড়ালে শত শত মানুষকে কোনও ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই আনা-নেওয়ার দায়ও আদালতে স্বীকার করেছেন তিনি।
ন্যাশন্যাল ক্রাইম এজেন্সির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোসেনের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ এ চক্র ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত আদায় করতো। আর ব্রিটেন থেকে সীমান্ত দিয়ে পার করে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার পাউন্ড করে নিত। কারণ ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশের চেয়ে অবৈধ পথে বেরিয়ে যাওয়া কম ঝুঁকিপূর্ণ।
হোসেনের গ্যাংটি মানব পাচারে  ট্যাক্সি ও লরি ড্রাইভারদের একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করত। তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের হাতেনাতে আটক করার সময় পাচারকৃত নারী পুরুষ ও শিশুদের বিস্তারিত তথ্যসহ রীতিমত রেজিস্টার খাতা খুঁজে পান। এ চক্রটি পাচারের সময় কেউ ধরা পড়লে তাদের টাকা ফেরত দিত। পাচারকৃত মানুষদের রাখার জন্য পুর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিনে আবাসন ব্যবস্থাও ছিল তাদের।
আদালতে হোসেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত মানুষ পাচারে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ব্রিটেনের ন্যাশন্যাল ক্রাইম এজেন্সির সিনিয়র তদন্ত কর্মকর্তা ক্রিস হিল বলেছেন, চক্রটি যাদের পাচার করেছে তাদের মধ্যে খুন ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে পলাতক ব্যক্তিরাও আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এম.কে
০৩ জুলাই ২০২৩

আরো পড়ুন

অ্যাসাইলামপ্রার্থীদের অপসারণ দ্রুত করতে ‘নিরাপদ দেশের তালিকা’ তৈরি করতে চান স্বরাষ্ট্র সচিব!

পার্টিগেট: লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি ছবি

উত্তর প্রদেশে নিষিদ্ধ হলো ‘হালাল’ পণ্য