3.2 C
London
January 31, 2025
TV3 BANGLA
বাকি বিশ্বশীর্ষ খবর

মিয়ানমারে তীব্র হচ্ছে আন্দোলন

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারাবন্দি অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে দেশটিতে চলমান আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।

 

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইয়াঙ্গুনের ড্যাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন কয়েকশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। সেখানে তারা সু চির পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়ে লাল পতাকা বহন করেন। ‘এ সামরিক অভ্যুত্থান চাই না’, ‘সু চি মা জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন তারা। ‘আমরা আমাদের প্রজন্মকে এ ধরনের সামরিক স্বৈরাচারের যাঁতাকলে ভুগতে দেব না’, বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায় এক বিক্ষোভকারী।

 

শিক্ষার্থীসহ সরকারি ও বেসরকারি বহু কর্মী এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। শুক্রবার সর্বশেষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরা।

 

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী এবং অং সান সু চি-সহ অন্য রাজনীতিক নেতা ও কয়েকশ’ আইনপ্রণেতাকে আটক করে। এরপর অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা একটি সুপ্রিম কাউন্সিলও গঠন করে। সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই প্রথম প্রতিবাদ এসেছিল চিকিৎসাকর্মীদের কাছ থেকে।

 

এরপর বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগের সরঞ্জাম অবৈধভাবে আমদানির অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে মামলা করে দেশটির পুলিশ। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদস্যরা।

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক বন্ধ করে দেয় সামরিক সরকার। মিয়ানমারের ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কঠোরতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়ে মিয়ানমারর সরকারের কঠোর অবস্থানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টেলিনর। একে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলছে নরওয়েভিত্তিক কোম্পানিটি। ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধিনিষেধ দিয়ে মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।

 

ইন্টারনেট সেনা পুনরায় চালু করতে দেশটির শাসকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এএফপি/রয়টার্স

 

আরো পড়ুন

পূর্ব লন্ডনে আচমকা তাণ্ডব চালিয়ে গেল টর্নেডো

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়লে সাইরেন শুনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৌড়ে পালালেন

“আমাকে নিষিদ্ধ করে সামাজিক মাধ্যমগুলো সর্বনাশা ভুল করেছে”