বৈদেশিক বাণিজ্য ও রিজার্ভ নিয়ে চাপে আছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় গত মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স। এবার বাংলাদেশের দীর্ঘ মেয়াদী রেটিং আউটলুককে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে আরেক প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি থেকে বলা হয়, আগামী বছর বাংলাদেশের তারল্য পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো চাপের মধ্যে পড়বে।
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে প্রভাবশালী তিনটি রেটিং প্রতিষ্ঠান হলো— মুডি’স, এসঅ্যান্ডপি এবং ফিচ রেটিং। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এ তিন প্রতিষ্ঠানের রেটিংয়ের ওপর কোনো দেশের অর্থনীতির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই নির্ভর করে। চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে বিএ৩ থেকে বি১-এতে নামিয়ে দেয় মুডি’স।
মঙ্গলবার অপর প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং হবে ‘বিবি মাইনাস’ (BB-)। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হবে ‘বি’। বিদেশী ঋণ ও তারল্য পরিস্থিতির যদি ছন্দপতন হয়, তাহলে রেটিং আরো হ্রাস পাবে।
সরকারের চলতি হিসাবের আয় প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়া, পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি সামগ্রিক লেনদেনে ঘাটতি সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে ব্যর্থতার ফলে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিংয়ে নেতিবাচক হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেছে এসঅ্যান্ডপি।
এসঅ্যান্ডপি বলেছে, আগামী ১২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সূচকগুলো স্থিতিশীল করতে হলে অনুকূল বাণিজ্য পরিস্থিতি ও আর্থিক প্রবাহ প্রয়োজন।
এম.কে
২৬ জুলাই ২০২৩